আগামী ১১ ই জুন গঙ্গায় আসতে চলেছে ভরা কোটাল এর বান। ভরা কোটাল এর এই বান আসার কারণে গঙ্গা জলস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে শহর কলকাতা নিচু এলাকাগুলিতে বানের জল ঢুকে জলমগ্ন অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি যদি কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা জুড়ে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয় এই সময়ে, তাহলে এই জলমগ্ন অবস্থা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের কাছ থেকে এ ধরনের পূর্বাভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু করলেন প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি নোটিফিকেশন জারি করেছেন ফিরহাদ।
কলকাতা পুরসভার সবকটি পাম্প হাউসকে হাই এল্যার্ট জারি করা হয়েছে। কলকাতার যে সমস্ত নিচু এলাকা রয়েছে, সেখানে ২০০ টিরও বেশি ভ্রাম্যমান হাই পাওয়ার পামসেট বসিয়ে জমা জল দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি জলমগ্ন অবস্থার সৃষ্টি হলে যাতে ওই সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষজন কে দ্রুত শেফা জনে সরিয়ে দেওয়া যায় এবং সেখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা যায় সে বিষয়েও পুরো আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শহর কলকাতার মধ্যে অবস্থিত পিকে টেগর ঘাট, ও মোদি ঘাট ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। যেহেতু এই ঘাট গুলির কাছে গঙ্গার জলে বাড়ছে তার জন্যই ঘাট গুলি দিনদিন ভেঙে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে এবং হাট সংলগ্ন গোডাউন বা এই জাতীয় ঘর গুলি ও ক্রমে ভেঙে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এ বিষয়টির সঙ্গে ভরা কোটাল এর বনের কোন সম্পর্ক নেই। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ইরিগেশন দফতরের সঙ্গে কথাবার্তা চালু করা হয়েছে। তেমনই জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।ইরিগেশন এর অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কলকাতা পুরসভা যৌথভাবে জয়েন্ট মেকানিজম গড়ে তোলার মাধ্যমে,, আগামী দিনে ওই ভেঙে যাওয়া ঘাট গুলি রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে আধুনিক মানের পাইলিং এর ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এদিন জানালেন ফিরহাদ। আগামী ৯ জুন দুপুর তিনটের সময় কলকাতা পুরসভা ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে, ইরিগেশন দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও কর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করা হবে।