করোনা আবহে জয়েন্ট এন্ট্রান্স নিয়ে অনিশ্চয়তা, চলতি সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত

  • এবছরের মতো বাতিল মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা
  • এবার করোনা আবহে জয়েন্ট এন্ট্রান্স নিয়ে অনিশ্চয়তা
  • ১১ জুলাই পরীক্ষা হবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়
  • সরকারের সঙ্গে কথা বলে চলতি সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে 

debojyoti AN | Published : Jun 8, 2021 10:44 AM IST

করোনা আবহে এবছরের মতো বাতিল হয়ে গিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর এবার জয়েন্ট এন্ট্রান্স নিয়েও তৈরি হল অনিশ্চয়তা।  ১১ জুলাই পরীক্ষা হবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। সরকারের সঙ্গে কথা বলে চলতি সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। 

ইতিমধ্যে একাধিক বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পড়ুয়াদের পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা উচিত নয় বলে জানিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর গতকাল সেই একই পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকারও। এবছরের মতো বাতিল করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তবে পড়ুয়াদের মূল্যায়ণ কীভাবে করা হবে তা নিয়ে সাতদিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য্যায়। 

আরও পড়ুন- বাতিল মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক, নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

এদিকে পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কঠিন পরিস্থিতিতে পরীক্ষার আয়োজন সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছিল ওই কমিটি। এরপর পরীক্ষা হওয়া উচিত কিনা তা পড়ুয়া, অভিভাবক ও আমজনতার কাছে জানতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে ৮৩ শতাংশ মানুষ পরীক্ষা বাতিলের পক্ষে ছিলেন বলে গতকাল নবান্নে জানান তিনি। এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বিশেষজ্ঞ কমিটিও বলেছে যে এই সময় পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়। যেহেতু মহামারী চলছে, অনেক স্কুল সেফ হাউস হয়ে গিয়েছে। নানা রকম ব্যাপার আছে। তাই আমরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিচ্ছি না।"

করোনা আবহে কি এবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মতো জয়েন্ট এন্ট্রান্সও বাতিল হতে চলেছে? এই প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে পড়ুয়াদের। এই বছর ১ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেওয়ার কথা। মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ৪০ শতাংশ ভিনরাজ্যের পড়ুয়ারা পরীক্ষা দেয়। জুন মাসেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, করোনা আবহে বাতিল হয়েছে সেই পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে কীভাবে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া যায় তা নিয়ে সরকারের সঙ্গে বৈঠক করবে বোর্ড। যদি ১১ জুলাই এই পরীক্ষা না হয়, সেক্ষেত্রে পরীক্ষা বাতিলের পরিবর্তে তা পিছিয়ে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। কারণ এই পরীক্ষার উপর নির্ভর করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তি হয় পড়ুয়ারা। তাই সরকারের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলে তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে। 
 

Share this article
click me!