লকডাউনে কলকাতায় মদের হোম ডেলিভারি সিস্টেম নিয়ে মুখ খুললেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। মহানগরের সিপি জানান, লকডাউনে এরকম কোনও তথ্য় তাঁর কাছে নেই। এটা সম্পূর্ণ আবগারি দফতরের বিষয়। এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য় তারাই দিতে পারবে।
লকডাউনে মদের হোম ডেলিভারি, নতুন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য়.
সকাল থেকেই বাংলার সংবাদ মাধ্য়মে রটে যায়, লকডাউনে মদের হোম ডেলিভারি করার উদ্য়োগ নিচ্ছে রাজ্য় সরকার। আবগারি দফতরের সঙ্গে এ বিষয়ে মিটিং হয়েছে খোদ পুলিশ কর্তাদের। খবরে বলা হয়, লকডাউনে মদেও ছাড়পত্র দিতে চলেছে মমতার সরকার। সূত্রের খবর, শীঘ্রই কলকাতায় মদের হোম ডেলিভারি চালু হচ্ছে। যেখানে বাড়িতে বসেই মদের ডেলিভারি পেয়ে যাবেন গ্রাহকরা।
রাজ্যের খাতায় ৭১, কেন্দ্রের হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে করোনায় আক্রান্ত ৯৯.
এখানেই শেষ নয়,সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত চলবে এই অর্ডার নেওয়া। এলাকার মদের দোকানে ফোন করে মদ অর্ডার দিতে পারবেন ক্রেতারা। যেখান থেকে মদের দোকানের ডেলিভারি বয়ের মাধ্য়মে মদ পৌঁছে যাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে। ইতিমধ্য়েই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে আবগারি দফতর ও কলকাতা পুলিশের মধ্য়ে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মদ কিনতে কোনওভাবেই দোকানে আসতে পারবেন না গ্রাহকরা। লকডাউনে তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। এদিনই লালবাজারের তরফে কলকাতার সবকটি থানার ওসি ও অতিরিক্ত ওসিদের এই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ৫টার পরে মদের ডেলিভারি দেওয়া যাবে না।
লকডাউনেও বসবে ফুলের বাজার, বুধবার থেকে ছাড়পত্র বিড়ি শ্রমিকদের.
কীভাবে কাজ করবে এই ডেলিভারি সিস্টেম ? সূত্রের খবর, প্রতিটি মদের দোকানকে ডেলিভারি বয়দের লকডাউনে যাতায়াতের জন্য় তিনটি পাস দিতে পারবে মদের দোকানিরা। এই পাসে লোকাল থানার ওসি ও ডিভিশনার ইনচার্ডের স্বাক্ষর থাকা বাধ্য়তামূলক। অন্যথায় মদ আটকে দিতে পারে পুলিশ। এই হোম ডেলিভারির বাইরে কোনওভাবেই মদ বিক্রি না হয় , সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। কোনও ক্রেতা মদ কিনতে দোকানে গেলে তাঁকে লকডাউন ভাঙার জন্য় অ্য়ারেস্ট করতে পারে প্রশাসন। এদিন যা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। যদিও বিকেল হতেই এই খবরকে ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য় করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।