শুভেন্দুর দলত্যাগবিরোধী আইন প্রসঙ্গে বিস্ফোরক কুণাল। রাজ্যে ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যোগদানের দৃশ্য দেখেছে বাংলার মানুষ। আর এবার উলটপূরাণ, মুকুলের হাত ধরেই কি বিজেপিতে ধস নামবে কিনা, চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন, কুণাল ঘোষের বাড়িতে রাজীব, দেড় ঘন্টা ধরে বৈঠক - তিনিও কি গাইছেন 'ঘরে ফেরার গান'
মুকুল ইস্য়ুতে শুভেন্দুর দলত্যাগবিরোধী আইন প্রসঙ্গে ক্ষোভ উগরে দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেছেন, শুভেন্দুবাবু দলত্যাগীবিরোধী আইন নিয়ে বড় বড় কথা বলেছেন। উনি আগে আইনটা নিজের বাড়িতে ওনার বাবাকে বোঝান। ওনার বাবা একটি দলের সাংসদ হয়ে অন্য দলে যোগদান করে বসে রয়েছেন। পদত্যাগ না করেই। জ্ঞানটা ওনার বাবাকে আগে দিন।' প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে ডেবরাতে দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার কর্মীদের নিয়ে এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন-'মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের একটা দীর্ঘদিনের রোগ। উনি তার রাজত্বে কোন বিরোধীদের রাখতে চান না, গণতন্ত্রকে মানেন না। সেজন্য স্কুল-কলেজে নির্বাচন তুলে দিয়েছেন, চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে পৌরসভার নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রহসন লুট করেছেন।'
আরও পড়ুন, পেট্রোল-ডিজেলের দামে সেঞ্চুরি হাঁকাবে কি কলকাতা, মূল্যবৃদ্ধিতে মাথায় হাত শহরবাসীর
শিশির পুত্র আরও বলেছেন, ' ২০১২ সাল থেকে এই বিধায়ক ভাঙ্গার মত কাজগুলো করে যাচ্ছেন। এখন কে যাবে না যাবে সেটা বলছি না। স্পিকার হাতে থাকলেই দলত্যাগ বিরোধী আইন, যেটা পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর হয়নি, আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে বলছি আমি তার পদ্ধতি জানি। দলত্যাগ বিরোধী আইন পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর করে দেখাবো। তাতে কয়েক মাস লাগতে পারে। তাতে আইন মেনে দল ত্যাগ করতে হবে। আমি শুভেন্দু অধিকারী, সমস্ত কিছু ছেড়ে সাধারণ ভোটার হিসেবে বিজেপিতে যোগদান করেছিলাম। সেভাবে যদি কেউ যায় তাহলে যেতে পারে। কিন্তু এখানে অন্য দলের বিধায়ক তৃণমূলের খাতায়। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা যে আইনের উর্ধে নয় তা প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি শুভেন্দু অধিকারীর। ইতিমধ্যেই সে কাজ করতে আমি কেন্দ্রের আইন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। পদ্ধতিগত কাজ শুরু হয়েছে।'
আরও পড়ুন, ভোর থেকেই আকাশ মেঘলা কলকাতায়, আজ প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস রাজ্যে
অপরদিকে রাজ্য বিজেপি নের্তৃত্বের দাবি, ইতিমধ্যেই তাঁদের দলের একাধিক জন নেতা-নেত্রীর কাছে মুকুলের ফোন এসেছে। তবে শনিবার এবিষয়ে মুখে কলুপ এটে ছিলেন মুকুল নিজেও। মুকুল ইস্যু নিয়ে দিলীপ ঘোষ পাল্টা বলেছেন, 'মুকুল রায় বিজেপিতে ছিলেন। তাই পূর্ব-পরিচিতদের ফোন করতেই পারেন।' তবে আদর্শবাদী বিজেপি নেতারা দলবদল করবেন না বলেই তাঁর বিশ্বাস। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, যাঁরা অরিজিনাল বিজেপি, তাঁরা কেউ দল ছাড়বেন না। আরা যাঁরা আয়ারাম-গয়ারাম তাঁদের নিয়ে ভাবছি না।'