বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে রাজনীতিতে ফের সক্রিয় হলেন কুণাল ঘোষ। নবান্ন দখল করতে দিল্লি থেকে বাংলায় ঘাঁটি গেড়েছেন বিজেপি নেতারা। পুজোর পর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ ক্রমশই তীব্র হচ্ছে। এই অবস্থায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নিশানা করলেন কুণাল। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সরকারের ভূয়শী প্রশংসা করলেন তিনি।
আল-কায়দা জঙ্গি যোগের পর কড়া নজর মুর্শিদাবাদে, সীমান্তে ঘাঁটি গেড়ে তদন্ত NIA-র
বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস ভবন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "যদি হিম্মত- ক্ষমতা থাকে তাহলে ভাইপো ভাইপো না করে, নাম উচ্চারণ করে কথা বলুন কৈলাস বিজয়বর্গী''। বিজেপির এই রাজ্যের মুখ্য পর্যবেক্ষককে শুধু হুঁশিয়ারি দেওয়া নয়, মুকুল রায় প্রসঙ্গ টেনে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ''তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে সারদা-নারদা প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করার আগে কৈলাস বিজয়বর্গীয় দেখা উচিত মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ রয়েছে? কেন তারা ভাগ মুকুল ভাগ এই শ্লোগান তুলেছিলেন''?
আরও পড়ুন-ফের বিজেপির শুভেন্দু-বোমা, তৃণমূল ছাড়ছেন 'জননেতা' লকেট-অর্জুনের পর এবার কৈলাস
একইসঙ্গে এই দিন কুনাল ঘোষ বলেন, " মুকুলকে সহ সভাপতি করবেন আর অন্যদিকে সারদা ইস্যুতে সবাইকে জ্ঞান দেবেন, সেটা হবে না। কথায় কথায় সিবিআই কথা বললে হবে না। মুকুলের সঙ্গে সামনা সামনি বসতে চাই, সেটা আমি আগেই বলেছিলাম''। পাশাপশি, সারদা তদন্তের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীকে আমি বলতে চাই, মির্জাকে যখন ধরা হয়েছে তাহলে তার কথা অনুযায়ী কেন মুকুল রায়কে গ্রেফতার করা হবে না? তাকে আগে গ্রেফতার করা হোক তারপর তৃণমূল নেতাদের কথা বলবেন তিনি।
একইসঙ্গে কুনাল ঘোষ বলেন, ''আমাদের প্রিয় নেতার চরিত্রহনন করে যাচ্ছেন, অথচ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের পাশে বসালেই তারা ধুয়ে যাচ্ছে, এটা কি ওয়াশিং মেশিন নাকি! রাজনৈতিকভাবে বিজেপির-তৃণমূল সম্পর্কে বলার কিছু নেই, কারণ এখানে কাজ হয়েছে। এখানে ১০০% মানুষের জন্য কাজ হয়েছে। এই সরকার খোঁজার চেষ্টা করছে কাদের জন্য উন্নয়ন দরকার। আমরা কুৎসা পছন্দ করি না''। বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কুনাল ঘোষ বলেন, ''অনেক কিছুই আছে যে গুলো আমরা তুলে ধরতে পারি, কিন্তু ব্যক্তি কুৎসা আমরা পছন্দ করি না''।