ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ট্যাংরার পরিস্থিতি। ট্যাংরার গোবিন্দ খটিক লেনের বাসিন্দাদের দাবি, ঘুষ নিয়ে খুনের মামলাকে দুর্ঘটনা বলে চালাচ্ছে পুলিশ। বাসিন্দাদের দাবি, যদি ঘুষ নিয়েই তদন্ত করা হবে তাহলে তাঁরাও ঘুষ দিতে তৈরি। আর তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাতে টাকা নিয়ে পথ অবরোধ শুরু করেছেন বাসিন্দারা।অভিযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও আর একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, ছাত্রদের দাবিতে উত্তাল প্রেসিডেন্সি, ৩০ ঘণ্টা ঘেরাও থাকার পর মুখ খুললেন উপাচার্য
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে পুত্রবধূর অপহরণ ঠেকাতে গিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় মৃত্যু হয় গোপাল প্রামাণিকের। অভিযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও আর একজনকে গ্রেফতার করলেও তাদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এই ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ট্যাংরার পরিস্থিতি। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ঘুষ নিয়ে অপহরণ ও খুনের ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে চালাতে চাইছে পুলিশ। তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গোবিন্দ খটিক লেনের বাসিন্দারা হাতে টাকা নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। ফেলে দেওয়া হয় রাস্তায় জলের ড্রাম। যার দরুণ সকাল থেকেই ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন, বেলিডান্সের উদ্দামতায় পুরুষদের হার্টথ্রব, খোদ ঋতুপর্ণাও তাঁর ভক্ত
অভিযোগ, বাড়ির কাছেই একটি অ্যাম্বুল্যান্স পুত্রবধূর হাত ধরে টানাটানি করে গাড়িতে তুলতে যায় তাঁকে। এরপরেই তরুণীর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন শ্বশুর। কিন্তু তাঁকে পিষে দিয়েই চলে যায় ওই অ্যাম্বুল্যান্সটি। মৃত্যু হয় শ্বশুর গোপাল প্রামাণিকের। এরপরে ট্যাংরা থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে আবদুর রহমান ও তাজউদ্দিন নামের দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা বলেন, ঘটনাস্থল ও তার আশেপাশের অন্তত আটটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হয়েছে। তরুণী অ্যাম্বুল্যান্সের ধারেকাছেও ছিলেন না। তিনি মিথ্যে অভিযোগ করছেন। তারপরেই পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাবাসী ইতিমধ্য়েই হুশিয়ারী দিয়ে জানিয়েছেন, অভিয়ুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও খুনের মামলা দায়ের না করা হলে এই অবরোধ জারি থাকবে।