সংক্ষিপ্ত

  • ৩০ ঘন্টা ঘেরাও থাকার পর মুখ খুললেন প্রেসিডেন্সি উপাচার্য 
  • পড়ুয়াদের দাবি, প্রেসিডেন্সি উপাচার্যকে ক্ষমা চাইতে হবে 
  • হিন্দু হোস্টেলের পুরনো কর্মীদের ফিরিয়ে আনতে হবে 
  • বিনা নোটিসে মেস স্টাফ ছাঁটাই পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে 
     

প্রায় ৩০ ঘন্টা ঘেরাও থাকার পর মুখ খুললেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। পড়ুয়াদের দাবি, হিন্দু হস্টেলের সমস্যা সমাধান করতে হবে।  সোমবার সকাল থেকে একাধিক দাবি নিয়ে ফের আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা। সোমবার সারাদিন ঘেরাও থাকার পর বের হতে পারলেও মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটা অবধি নিজের ঘরে বন্দি ছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লুধিয়া। তারপর তিনি অবশেষে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু বুধবার সন্ধেয় মিটিং-এর পর প্রেসিডেন্সি পড়ুয়ারা জানায় তাদের দাবি না মানলে আন্দোলন চলবে।

আরও পড়ুন, দক্ষিণবঙ্গে পাততাড়ি গোটাচ্ছে শীত, আগামী ৭২ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি


বুধবার সন্ধে ছটা নাগাদ নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কী কথা হল সে ব্য়াপারে প্রেসিডেন্সি পড়ুয়া আত্মজিৎ মুখোপাধ্য়ায় জানান যে, প্রেসিডেন্সি উপাচার্য পড়ুয়াদের আন্দোলন থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। ঘেরাও তুলে নিতে বলেছেন। এতেই পড়ুয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাল হবে। অবশ্য় প্রেসিডেন্সি উপাচার্যের এই কথায় বরফ গলেনি। অপরদিকে ৩০ ঘন্টা ঘেরাও থাকার পর অসুস্থ বোধ করেন প্রেসিডেন্সি উপাচার্য অনুরাধা লুধিয়া। এরপর বুধবার সন্ধেয় অ্য়াম্বুলেন্সে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়েন উপাচার্য। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অবশ্য় বুধবার সন্ধেয় মিটিং-এর পর প্রেসিডেন্সি পড়ুয়ারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তাদের মূলত দুটি দাবি মেনে নিলেই তারা আন্দোলন তুলে নেবে। প্রথমত, হিন্দু হোস্টেলের পুরনো কর্মীদের ফিরিয়ে নেওয়া এবং উপাচার্যের ক্ষমা চাওয়া। 

আরও পড়ুন, 'উচ্চশিক্ষিত হয়েও কেন কনস্টেবল পদে', সুমনের মৃত্যুর তদন্ত করবে সিবিআই


সূত্রের খবর, হিন্দু হস্টেল নিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পড়ুয়াদের মধ্যে বিবাদ লেগেই রয়েছে। বেশ কয়েকদিন আগে এই হস্টেলের ৩, ৪ এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ড খালি করার দাবি জানায় ছাত্রছাত্রীরা। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবিপূরণের আশ্বাস দিলেও সমস্যার  এখনও সমাধান হয়নি। তাঁদের দাবিগুলি হল, হস্টেলের মেস স্টাফের সংখ্যা বাড়ানো এবং বিনা নোটিসে কোনও কারণ ছাড়া মেস স্টাফ ছাঁটাই করার জবাব তলব। হিন্দু হস্টেল আন্দোলনে ছাত্রীদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে কেন বাধা দেওয়া হল, সে উত্তরও চায় আন্দোলনকারীরা। যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে পদ থেকে অপসারণেরও দাবি জানিয়েছেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। এর পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের দাবি, হস্টেল আবাসিকদের নিয়ে ওয়েলফেয়ার কমিটি গঠন করতে হবে।