কারখানায় নয়, এবার লক আউটের নোটিস ঝুলল হাসপাতালে! তাও আবার খাস কলকাতায়। আগামী পয়লা জানুয়ারি থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সল্টলেকের আনন্দলোক হাসপাতাল। বিপাকে পড়েছেন রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা। হাসপাতাল বন্ধের সিদ্ধান্ত অবশ্য মানতে নারাজ কর্মীদের একাংশ। প্রতিবাদ মিছিলও করলেন তাঁরা।
স্রেফ কলকাতা কিংবা জেলা থেকেই নয়, বাংলাদেশ থেকেও অনেকেই চিকিৎসা করাতে আসেন সল্টলেকের আনন্দলোক হাসপাতালে। কিন্ত হাসপাতালটি আর চালাতে আগ্রহী নয় কর্তৃপক্ষ। লক আউট নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হল সোমবার। কর্মীদের একাংশের আচরণে রীতিমতো ক্ষুদ্ধ আনন্দলোক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। লক আউট নোটিসে জানানো হয়েছে, আগে হাসপাতালের আয় হত ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা কাছাকাছি। আর এখন আয়ের অঙ্ক কমে দাঁড়িয়েছে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা। আনন্দলোক হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কর্মীদের অসহযোগিতার কারণেই আয় কমেছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, আর হাসপাতাল চালানো সম্ভব নয়। বস্তত, কর্মী ইউনিয়নের নেতাদের আচরণে আনন্দলোক হাসপাতালে স্বাভাবিক কাজকর্মও ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ।
সল্টলেকে আনন্দলোক হাসপাতালে যাঁরা ভর্তি ছিলেন, তাঁদের অনেককেই অন্য হাসপাতালে নিয়ে চলে গিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। অনেক রোগীকে আবার ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই। তবে বিপদের সময়ে রোগী ও তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন হাসপাতালের কর্মীরা। এখনও পর্যন্ত হাতেগোনা যে ক'জন ভর্তি আছেন, তাঁদের শারীরিক স্থিতিশীল করেই বাড়িতে পাঠানো আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত দুই-তিন মাস ধরে বেতন পাননি আনন্দলোক হাসপাতালে বহু কর্মীই, এমনকী চিকিৎসকেরাও। টাকা বকেয়া সাপ্লায়ারদেরও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কারওই প্রাপ্য টাকা মেটানো হবে না। বকেয়া টাকা কীভাবে আদায় করা যাবে? উদ্বিগ্ন সকলেই। সোমবার হাসপাতাল বন্ধের প্রতিবাদে মিছিলও করলেন আনন্দলোক-এর কর্মীদের একাংশ।