বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের দাবি সরকারের কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজেরই বর্তমানে খেসারত দিতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। রাজ্যের অপদার্থতার কারণেই আজ করোনা বিস্ফোরণের মুখে দাঁড়িয়ে গোটা বাংলা।
সোমবার থেকে ফের গোটা রাজ্যে জারি হয়ে গিয়েছে আংশিক লকডাউন(Lockdown in westbengal)। ফের বন্ধ হতে চলেছে স্কুল-কলেজ(School-College)। নিয়্ন্ত্রণ করা হচ্ছে লোকাল ট্রেনের গতিবিধি। বিধিনিষেধ জারি হয়েছে সিনেমা হল, শপিং মল সহ একাধিক ক্ষেত্রে। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চলবে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে। এবার এই আচমকা লকডাউন(Lockdown) নিয়েই সরকারের তুলোধনা করতে দেখা গেল বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে(BJP leader Shamik Bhattacharya)। তাঁর দাবি ৭টার পর যদি লোকাল ট্রেন(Local train) যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে যারা দিনভর শহর কলকাতায়(Kolkata) এসে কাজ করবে তারা ফিরবেন কীকরে? তাঁর সাফ দাবি সরকারের(West Bengal Government) কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজেরই বর্তমানে খেসারত দিতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। রাজ্যের অপদার্থতার কারণেই আজ করোনা(Coronavirus) বিস্ফোরণের মুখে দাঁড়িয়ে গোটা বাংলা।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পদ্ম নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ক্রিস্টমাস-বর্ষবরণে একটা বিপুল জনসমাগম তৈরির চেষ্টা হচ্ছিল। যা সকলেই দেখেছেন। সরকারের ব্যর্থতাতেই আজ তৃতীয় ঢেউ চলছে বাংলার বুকে। আমরা দেখছি কলকাতা সহ একাধিক জেলায় দ্রুত গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের পরিমাণ। কিন্তু টেস্ট বাড়লে দেখা যাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাস্তবিক ভাবেই আরও বেশ। শুধু কলকাতা কেন হু হু করে করোনা বাড়ছে পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর চব্বিশ পরগণা। কিন্তু অবস্থায় যখন রাজ্য দাঁড়িয়ে কেন তখন বর্ষবিদায়ের উদযাপনের পাশাপাশি বছরের শুরুর দুদিন বিধিনিষেধ আরোপ করা হল না?”
আরও পড়ুন- হার্মাদ-উন্মাদদের উল্লাস মঞ্চে পরিণত হয়েছে ত্রিপুরা, বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের
এখানেই না তেমে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে সর্বত ভাবে ব্যর্থ সরকার। আর সেই কারণেই রকেটের গতিতে গোটা রাজ্যজুড়ে বাড়ছে করোনা গ্রাফ। সরকারের প্রচারসর্বস্বতার কারণেই করোনা আজ উর্ধ্বমুখী। কোভিডের অজুহাতে এখন বন্ধ রাখা হচ্ছে দুয়ারে সরকার। কিন্তু করোনা কাদের জন্য বাড়ল? কোভিড পরিস্থিতে কী ভাবে হতে পারে পুরভোট? পুর নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে কী ভাবছে সরকার আমরা সেদিকে তাকিয়ে রয়েছি।” এদিকে করোনা আবহে পুরভোট নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এবার কার্যত একই সুরে কথা বলতে দেখা গেল শমীককে। এদিকে ৩ তারিখ থেকে গোটা রাজ্যজুড়ে যে বিধিনিষেধের বেড়াজাল জারি হচ্ছে তা চলবে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরমধ্যে যদি করোনার বাড়বাড়ন্ত বাগে আনা না যায় তবে আগামীতে বিধিনিষেধের পরিমাণ আরও বাড়ানো হতে পারে বলে খবর।