দুর্ঘটনা আটকাতে রীতিমতো টেন্ডার ডেকে উড়ালপুলে ফেন্সিং বসানোর কাজ শুরু হচ্ছে। বুধবার রাত থেকে ফেন্সিং দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
চিনা মাঞ্জার জন্য এর আগে মা উড়ালপুলে বহু দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাইকে করে যাওয়ার সময় অনেকেরই গলায় এই সুতো আটকে গিয়েছিল। সেই ঘটনা যাতে আর কখনও না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা নিতে চলেছে প্রশাসন। টানা ১৫ দিন ৬ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে শহরের যোগাযোগের অন্যতম ব্যস্ত উড়ালপুলটি।
দুর্ঘটনা আটকাতে রীতিমতো টেন্ডার ডেকে উড়ালপুলে ফেন্সিং বসানোর কাজ শুরু হচ্ছে। বুধবার রাত থেকে ফেন্সিং দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। যা চলবে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তার জেরে ১৫ দিন বন্ধ থাকবে মা উড়ালপুল। রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত এই উড়ালপুল বন্ধ রাখা হবে।
আরও পড়ুন- এবার 'দাদাগিরি' সিলভার স্ক্রিনে, লাভ ফিল্মের প্রযোজনায় আসছে সৌরভের বায়োপিক
সম্প্রতি ঘুড়ির মাঞ্জা থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে উড়ালপুরে ফেন্সিং দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেএমডিএ। পরীক্ষামূলকভাবে উড়ালপুলের কিছুটা অংশ ফেন্সিং দেওয়াও হয়। তবে এবার বুধবার রাত থেকে টেন্ডার ডেকে ফেন্সিং দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। গত ৩ মাসে ওই উড়ালপুলে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন প্রায় ১৫ জন। সেই কেই মাঞ্জার সুতোয় জড়িয়ে কেউ পড়ে গিয়েছেন, তো কারও নাক কাটা গিয়েছে। আর সেই দুর্ঘটনা এড়াতেই এবার ফেন্সিং দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত মা উড়ালপুল দিয়ে কোনও যান চলাচল করতে পারবে না। আপাতত সায়েন্স সিটি থেকে পার্কসার্কাস মুখী লেনের বাঁ দিক ঘেঁষে ৯০০ মিটার জায়গায় জুড়ে বসবে কাইট স্ট্রিং বেরিয়ার। বেষ্টনীর উচ্চতা হবে ৪ মিটার। মাঝের পাঁচ অংশে পাঁচ মিটার উচ্চতায় থাকবে লোহার তার। ঘুড়ির সুতো যাতে কোনওভাবে চলন্ত বাইক বা স্কুটার আরোহীর মাথা বা গলার কাছাকাছি আসতে না পারে, তার জন্য এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- বাংলার ৬১ জন বিজেপি বিধায়ককে আর নিরাপত্তা দেবে না কেন্দ্র, চিঠি নবান্নকে
আরও পড়ুন- দূরত্ব কি আরও বাড়ল, রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়কের দফতরে ঢাকা হল দেবশ্রীর ছবি
সূত্রের খবর, প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলি চিহ্নিত করে সেগুলিকে পলিকার্বনেট চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে। কিন্তু, ঘূর্ণিঝড় বা জোর ঝড় হলে সেগুলি উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার জেরেই সিদ্ধান্ত বদল করে কেএমডিএ। ফেন্সিংয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে লোহার পোল বসানোর কাজ চলছে। একদিকের কাজ শেষ হলে ডাকা হবে দ্বিতীয় টেন্ডার। জানা গিয়েছে, পুজোর আগেই ফেন্সিংয়ের কাজ শেষ করতে চাইছে কেএমডিএ।