রাজনীতিতে তাঁরা একেবারে যুজুধান প্রতিপক্ষ। অথচ এহেন প্রতিপক্ষকে নিজে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। নিজেই সে কথা জানালেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার কী কথা হল দু'জনে?
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ফোন প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি থেকে সব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বার বার সর্বদল বৈঠক ঠেকেছেন। বহুবার সেই বৈঠকে নিজে উপস্থিত থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি প্রথম থেকেই রাজ্য়ে করোনা পরিস্থিতি সামলাতে সর্বদল বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছে। তিনি নিজে সবার আগে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সর্বদল বৈঠকের প্রস্তাব রাখেন। অবশেষে এদিন পরে এই বিষয়ে সচেতন হয়েছেন তিনি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন, নিজেই মুখ্যমন্ত্রী অফস থেকে তাকে ২৪ জুন দুপুর তিনটের সময় সর্বদল বৈঠকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। তবে এটা যে রাজনীতির জায়গা নয়, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, রাজ্য়ে করোনা মোকাবিলায় কী কী প্রয়োজন সে বিষয়ে রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দেবে বিজেপি। এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি মেদিনীপুরের সাংসদ।
দিলীপ ঘোষ বলেন,আমফানে কেবল তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের আত্মীয় স্বজনদের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা পৌছচ্ছে। কাদের টাকা পাওয়া উচিত তা নিয়ে কোনও সমীক্ষাই করেনি রাজ্য় সরকার। বিজেপির কাছে ১৪২ জনের তালিকা আছে। যারা নামখানা ছাড়াও ওই সব অঞ্চলের বাসিন্দা। ক্ষতিগ্রস্তরা টাকা পাচ্ছেন না ,এদিকে পাকা বাড়ির লোকজন টাকা পেয়ে যাচ্ছেন।