'অনেকে আমার মৃত্যু চায়' মমতার কথা শুনেই কেঁদে ফেললেন সুব্রত বক্সি। তৃণমূল দলীয় বৈঠকে আবেগঘন পরিস্থিতি হল একুশের মুখে। এরপর রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির কান্না থামাতে এগিয়ে এলেন সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা, 'স্বাস্থ্য সাথী' প্রকল্প প্রচারে মিমি-রাজ
দিনের শেষে সবাই জানত, বক্সি মনের ভাল মানুষ
মমতার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী সুব্রত বক্সি বরাবরাই আবেগপ্রবণ। আবেগটা যে দলের ভিতরেও আছে, তা ভালই টের পাওয়া যায়। জেলা থেকে আগত অর্থি পার্থিরা এলেই অনেকেই প্রথমে ভয় পেতেন সুব্রত বক্সির সঙ্গে কথা বলতে। বুক কাঁপত অনেকেরই। বক্সির ব্যবহারে অনেকেই কমবেশি চটেওছেন। কিন্তু দিনের শেষে সবাই জানত, বক্সি আসলে ভাল মনের মানুষ। উপরটা তাই কঠিন হলেও ভিতরটা এখনও জলপ্রপাতের মতোই উচ্ছাসে ভরা। একুশের নির্বাচনের দোরগড়ায় দাড়িয়ে দলের ভিতরে গোষ্ঠী কোন্দল-কাঁদা ছেটাছিটির পাশাপাশি সুব্রত বক্সির চোখের জল সব কিছুই বোধয় ক্ষণিকের জন্য ম্লান করে দিল। তাই বৈঠক শেষেও যবনিকা পড়নি, আলোচনা জারি আছে 'বক্সিদার কান্না' নিয়েই।
আরও পড়ুন, ডেরেকের ফোনে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে কথা মুখ্যমন্ত্রীর, কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি মমতার
'আপনি আমাদের নেত্রী থাকবেন',কাঁদতে কাঁদতে বলেন বক্সি
সূত্রের খবর, শুক্রবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে মমতা আচমকাই বলেন, অনেকেই আমার মৃত্যু চায়। কারণ তিনি মারা গেলে তাঁর চেয়ার অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতে পারবে। মমতা নিজেও অনেকটাই আবেগতাড়িত হয়ে বলে ফেলেন কথাটা, জানিয়েছেন একাধিক নেতা। সেই সময় হঠাৎ চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি মমতার এই কথা শুনে বক্সিদা। সুব্রত বক্সি কেঁদে ফেলেন তখনই, আর মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন 'আপনি থাকবেন। আপনি আমাদের নেত্রী থাকবেন। আমাদের রাস্তা দেখাবেন।'