ট্যাংরার অগ্নিকাণ্ড নিয়ে উদ্বিগ্ন, উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

Published : Mar 13, 2022, 03:04 PM ISTUpdated : Mar 13, 2022, 04:09 PM IST
ট্যাংরার অগ্নিকাণ্ড নিয়ে উদ্বিগ্ন, উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

সংক্ষিপ্ত

প্রায় ১৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার বিনীত গোয়েল। এছাড়া গতকাল রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এবং সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। 

শনিবার ট্যাংরার (Tangra fire incident) মেহের আলি লেনের গুদামে আগুন লাগে। প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে সেই আগুন। আর এই আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ে তদন্তের (constitutes a high power committee) নির্দেশে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) অগ্নি নিরাপত্তা অডিট কমিটি গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন। 

গতকাল সন্ধে ৭টা নাগাদ ট্যাংরার একটি গুদামে আগুন লাগে। গুদামটি ঘিঞ্জি এলাকায় হওয়ার ফলে আগুন নেভাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় দমকলকে। দ্রুত ছড়িয়েও পড়তে থাকে আগুন। আগুনের (Fire) লেলিহান শিখা এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যে দমকলের (fire brigade) ১৬টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়েও আগুনকে বাগে আনতে পারছিল না। রেক্সিন, ফোম, কাপড়ের গুদাম হওয়ার আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ও তীব্রতা ক্রমেই বৃদ্ধি পায়। পুরো গুদামটি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। আগুনের তীব্রতায় একটা সময় পড়ে ভেঙে পড়ে যায় টিনের ওই গুদাম। কালো ধোয়া গ্রাস করে ফেলেছিল গোটা এলাকাকে। আর এই আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হন ৩ জন দমকল কর্মী। 

আরও পড়ুন- ট্যাংরায় বিদ্ধংসী আগুন, নেভাতে গিয়ে আহত ৩ দমকল কর্মী

 

এরপর প্রায় ১৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এছাড়া গতকাল রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu) এবং সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং বিজেপির অমিত মালব্য।

আরও পড়ুন- ফের শহরের বুকে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, দমকলের ১০টি ইঞ্জিনের চেষ্টাতেও এখনও নেভেনি আগুন, আহত ২

প্রশ্ন ওঠে যে এতক্ষণ ধরে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হলেও তা পুরোপুরি নেভেনি কেন? দমকল আধিকারিক এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দের মতে, চামড়ার গুদামের মধ্যে উপস্থিত ছিল রেক্সিন। যার মধ্যে চার ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে যার সবগুলিই দাহ্য। সেই কারণেই আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। এরপর আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। 

আরও পড়ুন- ইপিএফের সুদ কমানো প্রসঙ্গে বিজেপি সরকারকে তোপ মমতার, উত্তর প্রদেশ জয়ের পর 'গিফট কার্ডের' সঙ্গে তুলনা

এই অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী গতকাল রাতেই ফোন করে সব খবর নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। দমকল, পুলিশ ও কলকাতা পুরসভাকে নিয়ে এই কমিটি তৈরি করা হবে। কলকাতা শহরে এইরকম ঘিঞ্জি এলাকায় কতগুলো কারখানা বা গোডাউন রয়েছে তার একটা তালিকা তৈরি করা হবে। সেই সব জায়গায় দমকলের অনুমতি রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। এই কারখানাগুলোতে আগুন লাগলে তা কতটা ভয়াবহতা হতে পারে সেই বিষয়ও খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। সেই অনুযায়ী একটা রিপোর্ট তৈরি করা হবে। ফায়ার সেফটি কমিটি তৈরি করা হবে।"

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

প্রতিদিন বাদ যাচ্ছে ১ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম! SIR-এ কত ভোটার বাদ যাবে জানেন?
স্বামী প্রান্তিককে সঙ্গে নিয়ে 'ফুল' বদল রাজন্যার! ভোটের আগে কোথায় যাচ্ছেন তৃণমূলের বহিস্কৃত নেত্রী?