সংক্ষিপ্ত

ট্যাংরায় (Tangra) গুদামে বিধ্বংসী আগুন (devastating fire)। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে দমকলের (fire brigade) ১৫টি ইঞ্জিন। যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আহত ৩ দমকল কর্মী।
 

শনিবার রাতে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ৬ঘণ্টা কেটে গেলেও তখনও পুরোপুরো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি ট্যাংরার (Tangra)মেহের আলি লেনে গুদামের। আগুনের লেলিহান শিখা এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যে দমকলের (fire brigade) ১৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়েও আগুনকে বাগে আনতে পারছিল না। রেক্সিন, ফোম, কাপড়ের গুদাম হওয়ার  আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ও তীব্রতা ক্রমেই বৃদ্ধি পায়। পুরো গুদামটি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। টিনের গুদাম একটা সময় পড়ে আগুনের কারমে পুরোপুরি ধসে পড়ে যায়। কালো ধোঁয়া গ্রা করে ফেলে গোটা এলাকাকে। আগুন গুদামটির পাঁচিল ঘেরা জায়গায় মধ্যে অ্যারেস্ট করার রাখার চেষ্টা করে দমকল কর্মীরা। কারণ দেওয়ালের বাইরে আগুন বেড়িয়ে গেলে তা স্থানীয় এলেকায় ছড়িয়ে পড়ে পারে। তাতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। এই পরিস্থিতিতে আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হন ৩ জন দমকল কর্মী। তাদের চিকিৎসরা চলছে। 

প্রসঙ্গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পূর্ব কলকাতার(Kolkata) ট্যাংরায় মেহের আলি লেনের একটি চামড়ার গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন গ্রাস করে ফেলে গোটা কারখানাটিকে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।  দনকলের বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে দেরিয়ে আসার অভিযোগও ওঠে। রেক্সিন, ফোম সহ একাধিক  দাহ্য পদার্থ গুদামে থাকায় ভয়ঙ্কর রূপ নেয় আগুন (devastating fire)। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয় দমকলকে। ঘটনাস্থলে যায় কলকাতা পুলিসেরর বিপর্যয় মোকাবিলা দল। স্থানীয় কাউন্সিলর জীবন সাহা জানান, "দমকলের তিনজন কর্মী আহত হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি আশেপাশের বাড়িতে যাতে আগুন না ছড়িয়ে পড়ে। যতটা পাড়ছি প্রাণহানির এড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।" 

ঘটনাস্থলে পৌছে দীর্ঘক্ষণ উপস্থিত থেকে আগুন নেভানোর কাজ তদারকি  করেন দকমল মন্ত্রী সুজিত বসু  (Sujit Basu)। এছাড়াও ঘটনাস্থলে যান সাংসাদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। দমকল মন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রথম দিকে আগুন জলের সমস্যা দেখা দিলেও স্থানীয় পুকুর থেকে জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ আগুনের ভয়াবহতায় গুদামটির দেওয়ালেও ফাটল দেখা দেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তবে দমকল দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় রাতে শেষ পাওয়ার খবর অনুযায়ী আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। প্রাথমিক ভাবে ওই আগুন আয়ত্তে আনাই লক্ষ্য। তবে তার পর ওই গুদামে উপযুক্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। এবং কী কারণে আগুন লাগল তাও খতিয়ে দেখা হবে।