মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও দলবদল করেননি, সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়

  • অমিত শাহকে নিশান করে তৃণমূল কংগ্রেস
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দল বদল করেননি 
  • দাবি করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় 
  • শুভেন্দু নিয়ে মুখ খোলেন তিনি 
     

Asianet News Bangla | Published : Dec 20, 2020 9:26 AM IST

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মেদিনীপুরের জনসভা থেকে  ঠিক কথা বললেননি। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে তেমনই দাবি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ গতকাল বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় অন্য একটি দলে যোগদান করার জন্য কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। একথা ঠিক নয়। কারণ ১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি অন্য কোনও দলে যোগদান করেননি। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেছিলেন। তারপর থেকে তিনি আর কোনও রাজনৈতিক দলে যোগদেননি বলেও জানিয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। দলবদল ইস্যুতে যখন উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়েই সওয়াল করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। গতকালই মেদিনীপুরের জনসভায় শুভেন্দু অধিকারীসহ একগুচ্ছ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন। যদিও সেই অনুষ্ঠানে বাংলাসহ ভারতেরও নজর ছিল সদ্যো তৃণমূল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করা শুভেন্দু অধিকারীর গতিবিধি নিয়ে। 

\


এদিন তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে আরও বলেন, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের তেমন কোনও অসুবিধে হবে না। তিনি আরও বলেন দু-একজন দল বদল করলে তৃণমূল কংগ্রেসের মত বড় দলের কোনও সমস্যা হয় না। তাঁদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখনও পর্যন্ত বাংলার মানুষ ভরসা করেন। তৃণমূল কংগ্রেস নিশ্চিত যে আগামী দিনে তাঁদের হাতেই থাকবে বাংলার ক্ষমতা। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই দলবদল যে তৃণমূল কংগ্রেস মেনে নিতে পারছে না, তা আরও একবার প্রমান হল সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের কথায়। কারণ এদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায় রীতিমত কড়াভাষায় নিশানা করেন বিজেপিকে। 

সবথেকে খারাপ সময় কাটিয়ে এসেছে ভারত, মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গ থেকে বাঁচবে কি দেশ, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা .

জরুরি বৈঠক ডেকে সরকার ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী, ওলির সিদ্ধান্তে নেপালে তৈরি হয়েছে অলচাবস্থা ...

সুব্রত মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, বিজেপি দাবি দাবি করছে তাদের দলের ৩০০ কর্মী খুন হয়েছে, যা পুরোপুরি সঠিক নয়। তিনি আরও বলেন, বিজেপি কর্মীরা গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই খুন হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের হাতে রাজ্যের ১২৭ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি জিপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন তিনি। তিনি বলেন, কনভয়ে নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি ছিল না। কিন্তু কনভয়ে অতিরিক্তি গাড়ি থাকার কারণেই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। 

Share this article
click me!