প্রধানমন্ত্রী রাজভবনে পৌঁছনোর আগেই সেখানে পৌঁছে গেলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর পরেই সেখানে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা। আবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরেই ধর্মতলায় নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি বিরোধী ধর্না মঞ্চে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ কলকাতায় এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে তিনি আসেন রেসকোর্সে। সেখান থেকে সড়কপথে পৌঁছন রাজভবনে। প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় এলে তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হতে পারে বলে আগেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সেই সম্ভাবনাকে সত্যি করেই এ দিন প্রধানমন্ত্রী আসার আগেই রাজভবনে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগতও জানান তিনি।
আরও পড়ুন- এনআরসি, সিএএ প্রত্যাহার করুন, মোদীর কাছে দাবি জানালেন মমতা
আরও পড়ুন- রাজভবন ছেড়ে বেলুড়মঠে, স্বামীজির জন্মদিনে ধ্যানে বসবেন মোদী
কিন্তু তিনি যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলে বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়ার অভিযোগ তুলবেন তা ভালই জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই রাজভবন থেকে সরাসরি ধর্মতলায় তৃণমূলের এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইন বিরোধী ধর্না মঞ্চে এসে বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠককে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, 'গণতান্ত্রিক পরিসর পুরুদ্ধারের জন্য কলকাতার মানুষ পথে নেমেছে। আমাদের দুর্ভাগ্য কলকাতার মহানাগরিক প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন শুধু বৈঠক করাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই গাড়িতে চেপে এবং নৌকায় চড়ে বেলুড় মঠে যাতায়াত করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন। মানুষের চাপে পথ পরিবর্তন করেছেন মোদী। আমরা চাইছি উনি মত পরিবর্তন করবেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে গিয়ে কী বলবেন? কয়েকদিন আগে বলেছিলেন ক্যা ক্যা ছি ছি! রাজভবনে গিয়ে বলবেন ওটা উচ্চারণে ভুল ছিল। বলতে চেয়েছিলাম কাছাকাছি।'