ধমকধামক, রাগে তেড়ে যাওয়া, দলের ভিতর-বাইরে মমতার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ একই

  • মেজাজ ভাল নেই মমতার
  • সামান্য থেকে সামান্যতম ঘটনায় রাগে ফেটে পড়ছেন তিনি
     

arka deb | Published : Jun 1, 2019 11:37 AM IST

মেজাজ ভালো নেই মমতার।  সামান্য থেকে সামান্যতম ঘটনায় রাগে ফেটে পড়ছেন তিনি। রাস্তায় তার কনভয়ের দিকে ধেয়ে আসা জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনে গাড়ি থেকে নেমে তাঁর তেড়ে  যাওয়া দেখেই বোঝা গিয়েছিল লোকসভা ভোটের ব্যর্থতায় কতটা চটে আছেন তিনি। শুক্রবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠকেও সেই রণবীর মেজাজেই দেখা গেল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, যা চাওয়া হয়েছে দিয়েছি তা হলে এমন ফল কেন!

মমতার রোষের মুখে পড়লেন তার প্রিয় কেষ্ট, এমনকি অরূপ বিশ্বাসও। শনিবার মমতা অর্পিতা ঘোষকে দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্বেই পুনর্বহাল করা হল। শুভেন্দু অধিকারী গড়িমসি করায় মালদার দায়িত্ব পেলেন সাধন পাণ্ডে ও গোলাম রব্বানি।

এদিন মমতা প্রথম থেকেই দলের প্রতিটি ভুল ত্রুটি ধরে সমালোচনা শুরু করেন। দার্জিলিং আলিপুরদুয়ারের দায়িত্বে থাকা অরূপ বিশ্বাসকে তুলধোনা করেন মমতা। রোষের মুখে পড়েছেন প্রিয় কেষ্টও। তাঁর নাম না নিয়ে মমতা বলেন, "তোর ওখানেও বহু জায়গায় হেরে গিয়েছি, ভাল করে কাজ হয়নি। আমায শেখাতে আসবি না।"  ডানাও ছাটা হয়েছে তাঁর। নদিয়ার জেলা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মিডিয়ায় কারা কথা বলবেন, কারা বলবেন না, সে ব্যাপারেও মাথা ঠিক করে দিচ্ছেন মমতা।  খুব পরিষ্কার ইঙ্গিত, দ্রুত ভূত ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন তিনি।  

মমতা এদিনও ইভিএম কারচুপির অভিযোগ এনেছেন।তাঁর জিজ্ঞাসা পূর্বানুমান এভাবে হুবহু মিলে যায় কী করে। রাগ কমাতে অবশ্য দাওয়াই বাতলেছেন নিজেই। বলেছেন জয় শ্রীরামের পরিবর্তে জয় হিন্দ বলতে। 

Share this article
click me!