বিধায়ক মৃত্যু নিয়ে বিজেপিকেই 'দুষলেন' মমতা, রাষ্ট্রপতিকে কী চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী

  • বিজেপি বিধায়কের মৃত্যু নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি
  • চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়
  • বিধায়কের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় রাজনীতির যোগ নেই
  • রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে এমনই লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী

 

Asianet News Bangla | Published : Jul 15, 2020 4:01 PM IST

বিজেপি বিধায়কের মৃত্যু নিয়ে রাষ্ট্রপতির  কাছে চিটি  দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন  হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায়ের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় রাজনীতির যোগ নেই । অথচ বিজেপি এর মধ্য়ে রাজনীতি জুড়ছে। বিধায়কের রহস্য মৃত্যুর ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দেখাতে চাইছে গেরুয়া দল। নিজের যুক্তি দিতে গিয়ে  বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায়ের পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের উল্লেখ করেন চিঠিতে। 

এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি  মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ইতিমধ্য়েই  বিধায়কের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে পুলিশের কাছে। যা দেখে আত্মহত্যাই সন্দেহ করা হচ্ছে। এমনকী বিধায়কের পকেট থেকে সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। এসবই আত্মহত্যার বিষয়টার দিকেই  ইঙ্গিত করছে।  এই  ঘটনা কোনওভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়।

এদিকে বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেও সিআইডিতে ভরসা রাখছে রাজ্য় সরকার। হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক খুনে রাজনৈতিক প্রভাব দেখা হবে না বলে জানিয়েছেন রাজ্য়ের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়। গেরুয়া ব্রিগেড খুনের কথা বললেও আত্মহত্যার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন  তিনি।  

তিনি বলেন, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বিধায়কের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গলায় ফাঁস লেগেই মৃত্যুর বিষয়টি সামনে এসেছে। রাসায়নিক পরীক্ষার পর বাকি তথ্য দেওয়া সম্ভব হবে। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রসচিব। তিনি বলেন, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এটা আত্মহত্যা। তাঁর পকেটে যে কাগজ পাওয়া গেছে, সেখানে দুজনের মোবাইল নম্বর পাওয়া গেছে । তাদের সম্পর্কে কিছু তথ্যও লেখা আছে। টাকা লেনদেন সংক্রান্ত কোনও কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে কি না তা তদন্ত করে দেখছে রাজ্য পুলিশ।

তবে বিধায়কের পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবেই বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে। পরিবার সূত্রে দাবি, রবিবার সন্ধায় বালিয়ামোড় এলাকার এক চায়ের দোকানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন দেবেন্দ্রবাবু। রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু রাত ১ টা নাগাদ কেউ বা কারা তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিধায়কের ভাইঝি। তারপর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি।  

Share this article
click me!