বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ড হারবারের সভায় যাওয়ার পথে কনভেয়ে হামলা চালানো হয়। কনভয়ে ছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। প্রত্যেকেই গাড়িতেই পাথর, ইট ও কোল্ড ড্রিঙ্কসের বোতল নিক্ষেপ করা হয়। এইসব জিনিসের আঘাতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, অনুমপ হাজরা-র গাড়ির সামনের কাঁচ সাইডের জানালার কাঁচ এবং পিছনের কাঁচ ভেঙে যায়। গাড়ির ভিতর ঢুকে যায় গাদা ইটের টুকরো এবং কোল্ড ড্রিঙ্কসের ভাঙা কাচের বোতল। ভাঙা কাঁচের বোতলে ক্ষতবিক্ষত হন দিলীপ ঘোষ এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা। এমনকি, জেপি নাড্ডার গাড়ি লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইট, ছোট বাঁশের টুকরো দিয়ে আঘাত করা হয় গাড়িতে এবং থুতু ও পানের পিক ছুঁড়ে ফেলা হয় গাড়ি লক্ষ্য করে।
আরও পড়ুন-নাড্ডার কনভয়ে 'হামলা', 'সাধারণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ', আরও কী বললেন অভিষেক
এই ঘটনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ধর্মতলায় কৃষি বিলের প্রতিবাদ সভা থেকে তিনি বলেন, ''বাংলায় বিজেপি লোক নেই, তাই কনভয়ে হামলার নাটক করছেন। একটা নেতার পিছনে পঞ্চাশটা গাড়ি কেন? তার মধ্যে আবার বাইকের মিছিল। যেদিন লোক থাকে না, নাটক করে ন্যাশনাল নিউজ দেখার জন্য। দেখানো হয় আমাদের গাড়িতে হামলা করেছে''। মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
আরও পড়ুন-'মমতার রাজত্বে বাংলায় অরাজকতা', কনভয়ের উপরে হামলায় কড়া শাসানি জেপি নাড্ডার
কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিধানসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সেই কৃষি আইনকেই হাতিয়ার করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেকারণে মেদিনীপুরের সভা থেকে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ৮ থেকে ১০ তারিখ কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে বসে তৃণমূলের কৃষক সংগঠন। সেখান থেকে সিঙ্গুর আন্দোলনে তাঁর ২৬ দিনের অনশনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি বলেন'', এটা কৃষক বিরোধী আইন, জনবিরোধী আইন, তিনটে বিলেই প্রত্য়াহার করতে হবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য থেকে আলু-পেঁয়াজকে বাদ দেওয়া যাবে না''। ধর্মতলার প্রতিবাদ সভা থেকে মন্তব্য মমতার।