সংক্ষিপ্ত

  • ডায়মন্ড হারবারে নাড্ডার কনভয়ে হামলা
  • সভাস্থল থেকে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক নাড্ডার
  • এই ঘটনায় কী প্রতিক্রিয়া ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের?
  • আরামবাগের সভায় কী বার্তা দিলেন তিনি?

দুদিনের রাজ্য সফরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেই সভায় সফরের দ্বিতীয় দিনে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের গড় ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সভাস্থলে যাওয়ার পথে বিজেপির কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ইট-পাথর দিয়ে হামলার জেরে ভেঙে যায় বিজেপি নেতাদের গাড়ির কাঁচ। পাথরের আঘাতে জখম হন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ আরও কয়েকজন। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

আরও পড়ুন-ভবানীপুরে নাড্ডার পালটা কর্মসূচি তৃণমূলের, 'দুয়ারে-দুয়ারে' কর্মসূচি নিয়ে নিজের কেন্দ্রে মমতা

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি যখন ডায়মন্ড হারবারে সভা করছেন। সেই সময় হুগলির আরমবাগে তৃণমূলের সভায় ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিজেপির কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে বলেন, নাড্ডার কনভয়ে হামলা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। পাশাপাশি বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করে বলেন,  সিপিএমের হার্মাদরপা এখন বিজেপির জহ্লাদ হয়েছে। সিপিএমের মতো এখানে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে দেব না। আগামী নির্বাচনে ২২৫টি আসনে জয়ী হবে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সরানো এত সহজ নয়। তৃণমূল কংগ্রেস মমতার ছবি ১০ কোটি মানুষের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।

আরও পড়ুন-'মমতার রাজত্বে বাংলায় অরাজকতা', কনভয়ের উপরে হামলায় কড়া শাসানি জেপি নাড্ডার


অন্যদিকে, বিজেপির কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে থেকে ছটা পর্যন্ত ধিক্কার মিছিলের ডাক দেয় বিজেপি। কেষ্টপুর সহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে জেপি নাড্ডা বলেন ''বাংলায় গুন্ডারাজ চলছে। তৃণমূল সব চেষ্টাই করেছে, যাতে আমরা এই সভা স্থলে পৌঁছতে না পারি''। ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির জনসংযোগ কর্মসূচি থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন জেপি নাড্ডা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি মা দূর্গার নাম নিয়ে বলেন, 'মা দূর্গার অশে, কৃপা ছিল বলে এখানে পৌঁছতে পেরেছি। এই গুন্ডারাজ শেষ করতেই হবে'। এখানেই শেষ নয়, জেপি নাড্ডা এদিন তাঁর বক্তব্যের শুরু থেকেই কাটমানি থেকে শুরু করে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা এবং আমফান দুর্নীতি নিয়ে কড়া তোপ দাগেন।