ত্রাণ বিলি নিয়ে রণক্ষেত্র বাদুড়িয়া, জবাবে কী বললেন মুখ্য়মন্ত্রী

  •  ওটা সরকারের রেশনের কোনও বিষয় নয়
  • বাদুড়িয়া নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী
  • অনেকে সাধারণ মানুষকে সাহায্য় করছে
  •  ওটা ওরা নিজেরাই টাকা দিয়ে ত্রাণ কিনে দিচ্ছে

Asianet News Bangla | Published : Apr 22, 2020 12:49 PM IST / Updated: Apr 22 2020, 07:04 PM IST

লকডাউনের মাঝে ত্রাণের দাবিতে ধুন্ধুমার কাণ্ড উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায়। আক্রান্ত পুলিশ। প্রকাশ্য়েই কয়েকজন পুলিশকে মারধর করে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বাদুড়িয়ার তারাগুনিয়া দাসপাড়ায় ত্রাণের দাবিতে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তখন তাদের থামাতে গেলে জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। ইটের আঘাতে চার পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। আরও অভিযোগ, বাদুড়িয়া থানার ওসি বাপ্পা মিত্রকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। 

ত্রুটিপূর্ণ কিট পাঠানোয় টেস্টে দেরি, এবার আইসিএমআর-এর বিরুদ্ধে টুইট স্বাস্থ্য দফতরের

এদিন নবান্নে যা নিয়ে মুখ খোলেন  মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন, বাদুড়িয়ায় যে ঘটনাটা ঘটেছে, ওটা সরকারের রেশনের কোনও বিষয় নয়। অনেক জায়গায় রাজনৈতিক দলের সদস্য়রা সাধারণ মানুষকে সাহায্য় করছে। ওটা ওরা নিজেরাই টাকা দিয়ে ত্রাণ কিনে দিচ্ছে। ওখানে কে কতটা পাবে তা রাজ্য় সরকারের বিষয় নয়। রাজ্য় সরকার বলেছে ৫ কেজি করে মাসে চাল দেবে। কথা মতো পাঁচ কেজি করে চাল দিয়ে দেবে। সেটা একবারে হতে পারে , দুবারেও হতে পারে। তবে প্যাকেট করে দেবে না। এতে নানা সমস্য সৃষ্টি হবে। অনেকে বলবে, প্যাকেটে চাল কম দিয়েছে।

এদিকে বাদুড়িয়ার এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন খাদ্য়মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক। বাদুড়িয়ার ঘটনায় পুলিশের মাথা ফাটানোর পিছনে বিজেপির উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা। তাদের মতে, এলাকার মানুষ রেশনের চাল পাচ্ছে না। খাবার না পয়ে তারা পথ অবরোধ করে। সেই খুদার্থ মানুষগুলোর ওপর লাটিচার্জ করে পুলিশ।  

কেন্দ্রের হিসেবে ৪২৩, রাজ্য় বলছে বাংলায় করোনায় আক্রান্ত ৩০০.

ঘড়িতে তখন সকাল আটটা। বাদুড়িয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অশ্বত্থতলায় এলাকায় বুধবার পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সামাজিক দূরত্ব মেনেই চলছিল অবরোধ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, লকডাউনের জেরে কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে। রোজগার বন্ধ, খাবারও জুটছে না। বিপদের সময়ে সরকারি ত্রাণ বিলির ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক ভেদাভেদ করা হচ্ছে! পুলিশকর্মীরা যখন বুঝিয়ে-সুঝিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করেন, তখন পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ইঁটের আঘাতে এক পুলিশকর্মীর মাথা ফেটে যায় বলে অভিযোগ। এরপরই পাল্টা লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশও। আর তাতেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যান গ্রামবাসীরা। ধীরে ধীরে পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে আসে। লকডাউন ভেঙে গ্রামবাসীরা হঠাৎ করে কেন পথে নামলেন? ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক মদত নেই তো? তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

বাঙ্গুর হাসপাতালের 'বেহাল দশা' প্রকাশ্য়ে, ভিডিয়োর সত্যতা জানতে চেয়ে রাজ্য়কে চাপ বাবুলের.

করোনা সতর্কতায় লকডাউন চলছে রাজ্যে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগও। অনেক জায়গায় বাজার-হাট বসছে না, খুলছে না দোকানও। যাঁদের বিপিএল কার্ড আছেন, রেশন থেকে তাঁদের বিনামূল্য খাদ্যসামগ্রী বিলির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গরিব মানুষদের ত্রাণ বিলিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও সমস্যা মিটছে না, উল্টে ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে।  দিন কয়েক আগে দক্ষিণ ২৪ পরগণার মথুরাপুরে রেশন থেকে পর্যাপ্ত সামগ্রী না পাওয়ার অভিযোগে পথ অবরোধ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরে আবার বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। 

Share this article
click me!