করোনায় মৃতের সংখ্য়া নিয়ে এবার সংবাদমাধ্য়মকে সতর্ক হতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য়ে করোনার সংক্রমণে ৬ জনের মৃত্য়ুর বিষয়টিতে একমত নন তিনি। মুখ্য়মন্ত্রী মতে, কিছু বেসরকারি হাসপাতাল প্রচার পেতে করোনা রোগী ভর্তি হয়েছে বলছে। সংবাদ মাধ্য়মের উচিত সরকারি নথিতে বিশ্বাস করা।
দিদির অনুপ্রেরণায় কাজ করছেন দিলীপ, বিজেপি সভাপতির মুখে একী কথা.
তিনজন আক্রান্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি গিয়েছেন ইতিমধ্য়েই। তবে প্রতিদিন বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্য়া। পরিসংখ্যান বলছে, ইতিমধ্য়েই রাজ্য়ে ৩৭ ছুঁয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত বেড়ে ৬ হয়েছে। যদিও মুখ্য়মন্ত্রীর দাবি, আজ বিকেল ৪টে পর্যন্ত রাজ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। ৩৭ জনের মধ্যে ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি গিয়েছেন। এখন ৩১ জন পজিটিভ। যাদের মধ্যে ১৭ জনই ৪টি পরিবারের সংখ্যার যোগফল।
রেনকোটকাণ্ডে চিকিৎসককে তলব পুলিশের, ফেসবুক থেকে পোস্ট সরানোর নির্দেশ
মৃতদের মধ্য়ে একজন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। অন্যজনের মৃত্যু হয়েছে কিডনির সমস্যায়। এ বিষয়ে সরকারি তথ্যের উপর চোখ রাখতে বলেন মুখ্য়মন্ত্রী। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীল হতে পরামর্শ দেন মুখ্য়মন্ত্রী। পাশাপাশি যেসব বেসরকারি হাসপাতাল প্রচার পাওয়ার জন্য এই সব কাজ করছেন তাদেরও সতর্ক করে দেন মুখ্য়মন্ত্রী। মমতা বলেন, লড়াইয়ের এই সময়ে এমন প্রচার চালাবেন না।
লকডাউনের বাজারে হু-হু করে বাড়ছে 'বাংলার' দাম, দ্বিগুণ দামে বিকোচ্ছে 'রাম'
এদিনই মারা যান বেলঘড়িয়ার প্রৌঢ়। জানা যায়, মঙ্গলবারই ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গত কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
৫৭ বছরের ওই ব্যক্তি রথতলা এলাকায় রোল-চাউমিনের দোকান চালাতেন। তাঁর ভিন রাজ্য়ে বা দেশে যাওয়ারও কোনো ইতিহাস নেই। কীভাবে তিনি আক্রান্ত হলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পরিবারে আশঙ্কা কোনও ক্রেতার থেকে তাঁর সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। সূত্রের খবর,সম্প্রতি ওই ব্যক্তির এক আত্মীয় মুম্বই থেকে ফিরেছিলেন। পরিবারের বাকিদেরও খোঁজ নিচ্ছে প্রশাসন।
বেলঘড়িয়ার জেনিথ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই প্রৌঢ়। কিডনি জনিত একাধিক সমস্যা নিয়ে ভুগছিলেন তিনি। তার জন্য বার বার ডায়ালিসিস করাতে জেনিথে যেতেন। ডায়ালিসিস করাতে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। যদিও সরকারের হিসাবে ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি।