সংক্ষিপ্ত

 

  • করোনা মোকাবিলায় হাসপাতালে 'রেনকোট বিলি'
  • সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনার 'মাশুল'
  • চিকিৎসককে 'ধরে' নিয়ে গেল পুলিশ
  • ফেসবুক থেকে পোস্ট সরানোর নির্দেশ
     

করোনা মোকাবিলায় হাসপাতালে 'রেনকোট বিলি।' সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনার 'মাশুল' দিতে হল চিকিৎসককে।  মঙ্গলবার রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার মহেশতলায়। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি। সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।

করোনা ভাইরাসে আতঙ্কে থরহরকম্প গোটা রাজ্যে। সংক্রমণ ঠেকাতে ও আক্রান্তদের সুস্থ করে তুলতে দিনরাত এক করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। কিন্তু তাঁদের জীবনের দায়িত্ব কে নেবে! সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ২ লক্ষ PPE বা পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্টের বরাত দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। জানা গিয়েছে, মাথার চুল থেক পায়ের নখ পর্যন্ত ঢাকা এই পোশাক পরে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে  PPE নামে করে যে জিনিসটি পাঠানো হয়েছে, সেটি নাকি সস্তার রেনকোট!  তেমনই অভিযোগ করেছেন চিকিৎসকরা। 

জানা গিয়েছে, এই পিপিএ বা পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট হল সম্পর্ণ বায়ুনিরোধক একটি পোশাক। সোজা বাংলায়, পোশাকটি পরলে শরীরে কোনও অংশে বাতাস ঢুকতে পারে না। তাই সংক্রমণের আশঙ্কাও থাকে না।  কিন্তু রেনকোট পরলে ফল হবে উল্টো। চিকিৎসকদের দাবি, রেনকোটের ক্ষেত্রে বুক ও কোমরের কাছে বায়ু চলাচল করতে পারে। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা ষোলোআনা।  সরকারি হাসপাতালে PPE-এর বদলে রেনকোট বিলির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন চিকিৎসক ইন্দ্রনীল খান।  তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন, 'করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করাটা কোনও মজার বিষয় নয়। রেনকোট পরে কোভিন-১৯-র বিরুদ্ধে লড়াই করা আর লাঠি হাতে সীমান্ত পাহারা দেওয়ার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।'

মঙ্গলবার রাতে মহেশতলার বাড়ি থেকে ওই চিকিৎসককে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, থানায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে পোস্টটি সরানো নির্দেশ দেন মহেশতলা থানার আধিকারিকরা। চিকিৎসক রাজি না হওয়ায় চলে বাদানুবাদ। শেষপর্যন্ত অবশ্য ইন্দ্রনীল খানকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে আবার ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি।