নাম কিনতে গিয়ে দাম দিচ্ছেন না খোদ দলের নেতারা। উল্টে রেশন দোকান থেকেই চলছে লুঠপাট। ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে গরিবের শস্য তুলে নিচ্ছে খোদ দলের সদস্যরা। সম্প্রতি করোনা আতঙ্কের মধ্য়েই এরকম একাদিক ঘটনায় বিব্রত মমতার সরকার। শেষমেশ নাম না করে দলের নেতাদের চরম বার্তা দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী।
কেন্দ্রের হিসেবে রাজ্য়ে করোনায় আক্রান্ত ৯১,মমতার দাবি ৬৯
সম্প্রতি রেশন দোকান থেকে চালের বস্তা লুঠে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। করোনার আবহে উত্তর দমদম পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পরেছেন কোদ খাদ্য়মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক। পরে পুলিশ গিয়ে কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে চালের বস্তা উদ্ধার করে বল খবর। রেশন দোকানের মালিকের অভিযোগ, ৩০মার্চ কাউন্সিলর অঞ্জু মিশ্র ও তাঁর পরিবারের লোকেরা দোকানে ঢুকে হুমকি দিয়ে ১০ বস্তা চাল তুলে নিয়ে গেছেন।
লকডাউনেও বসবে ফুলের বাজার, বুধবার থেকে ছাড়পত্র বিড়ি শ্রমিকদের.
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রেশন দোকানের মালিক ক্যান্সারের পেসেন্ট। পুরো বিষয়টি খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কানে পৌঁছন তিনি। পরে সোমবার নিমতা থানার পুলিশ বিষয়টির খোঁজ খবর শুরু করেন। বিকেলেই কাউন্সিলর ও তাঁর দলবলের বাড়িতে হানা দিয়ে উদ্ধার করা হয় বস্তা।
কেন্দ্রের পাঠানো পিপিই-র রং হলুদ কেন, করোনাতেও 'গেরুয়াকরণ' দেখছেন মুখ্য়মন্ত্রী.
এদিন নবান্নে যা নিয়ে চরম বার্তা দিয়েছিন মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন, যাদের ত্রাণ দেওয়ার ইচ্ছে হয়েছে, তারা যেন নিজের পকেট থেকে ত্রাণ দেন। সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ না করেন। দল যে চাল দেয় সেটা বাইরে থেকে কিনে দেয়। রেশন দোকান থেকে দেয় না। এটা রেশন কার্ডহোল্টারদের প্রাপ্য। যেকোনও নেতা এসে বললেই রেশনের চাল দেওয়া যাবে না। কিছু রাজনৈতিক দল আছে তারা এই ধরনের কাজ করছে। নাম কিনতে গিয়ে রেশন দোকানে চাল দেওয়ার সময় হাজির হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, ক্যামেরার সামনে অভিযোগ নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি অভিযুক্ত কাউন্সিলর। এ বিষয়ে যা বলার উচ্চতর নেত্ৃত্ব বলবে বলে চলে যান তিনি।