পরিকল্পনায় কোনও ফাঁক ছিল না। ভরদুপুরে শহরের একটি শপিং মলের সামনে থেকে একেবারে ফিল্মি কায়দায় এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ৬ জন দুষ্কৃতী। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পথচলতি মানুষের তৎপরতায় গাড়ি-সহ অপহরণকারীদের ধরে ফেলল পুলিশ। ধৃতের মধ্যে তিনজন আবার কলকাতা পুলিশের কর্মী আর এক বিএসএফ আধিকারিক!
স্মরণীয় দিনে চালু হতে পারে ইস্ট- ওয়েস্ট মেট্রো, অক্টোবরেই কলকাতায় মোদী...
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার দুপুরে। মধ্য কলকাতার চাঁদনি চক এলাকার ই-মলের সামনের রাস্তায় তখন বেশ ভিড়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আচমকাই এক ব্যক্তিকে জোর করে গাড়িতে তুলে চোখের নিমেষে গায়েব হয়ে যায় ছ'জন। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন পথচলতি মানুষ। শেষপর্যন্ত কলকাতা পুলিশের ১০০ নম্বরে ডায়াল করে গাড়ির নম্বর-সহ গোটা ঘটনাটি জানান প্রত্যক্ষদর্শীরাই। তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও বৌবাজার থানার পুলিশ। রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজে গাড়িটির হদিশ মেলে। বস্তুত গাড়িটিকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু পার করতেও দেখা যায়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওই গাড়িটির মালিক আলম শেখ নামে এক ব্যক্তি। তার বাড়ি বীরভূমে।
ফ্ল্যাট হাতাতে মাকে মারধর, বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যুতে কাঠগড়ায় ছেলে...
কিন্তু গাড়িটি গেল কোথায়? বৃহস্পতিবার রাতভর কলকাতা ও বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় চলে নাকা তল্লাশি। শেষপর্যন্ত ভোরের দিকে গাড়িটির খুঁজে পায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ৬ জন অপহরণকারীকেও। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃত শ্য়ামল মণ্ডল, জাকির খান ও মহম্মদ হানিফ কলকাতা পুলিশেরই কনস্টেবল। আর এক অভিযুক্ত আমির হোসেন আবার বিএসএফের কনস্টেবল। ধৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণ-সহ একাধিক ধারায় পুলিশ মামলা রুজু করেছে বলে জানা গিয়েছে। যাকে অপহরণ করা হয়েছিল, সেই সৌমেন বসুর বিরুদ্ধেও প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি. জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে তাদের কাছ থেকে ১ কোটি টাকা নিয়েছিল খড়দহের বাসিন্দা সৌমেন। কিন্তু সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি সে। এদিকে টাকাও ফেরত দিচ্ছিল না ওই যুবক। তাই টাকা আদায় করার জন্য়ই সৌমেন বসুকে অপহরণের ছক কষে ধৃতেরা।