পুজোর পরই তৎপরতা শুরু বঙ্গ বিজেপিতে। আগামী বিধানসভা ভোটে নবান্ন দখল করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। সেকারণে শুধু বাংলার নেতাদের উপর ভরসা না করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি ভরসা রাখছেন মোদি-অমিত শাহ। বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনে বাজিমাৎ করা নেতাদেরই বাংলায় ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিতে চায় গেরুয়া শিবির। কালী পুজো শেষ হতেই সেই তৎপরতা শুরু হয়েছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।
বাংলায় নিলবাড়ি দখল করতে একুশের বিধানসভা ভোটে ২০০-র বেশি আসন টার্গেট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেকারণে এ রাজ্যে ভোট পরিচালনা কীভাবে হবে? তার জন্য তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে। বিভিন্ন রাজ্যে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থেকে যাঁরা বিজেপির ঝুলিতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন, এবার বাংলার নির্বাচনে তাঁদেরকেই ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিতে চায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সম্প্রতি, বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে পশ্চিমবঙ্গের সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বভার নিয়েই কলকাতায় ঘাঁটি গেড়েছেন তিনি। মঙ্গলবার রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে একপ্রস্ত বৈঠকও করেছেন অমিত মালব্য। সেই বৈঠকে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ। ছিলেন ত্রিপুরা জয়ের সফল সৈনিক হিসেবে পরিচিত সুনীল দেওধর।
আরও পড়ুন-বিধানসভা ভোটে একসঙ্গে লড়বে বাম ও কংগ্রেস, জোট ঘোষণা বিমানের
বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশ বিজেপির দায়িত্বে রয়েছেন সুনীল দেওধর। ত্রিপুরার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থাকাকালীন বাংলায় লোকসভা ভোটে ভোট পরিচালনার কাজ করেছিলেন তিনি। মারাঠি ভাষার পাশাপাশি খুব সন্দর ভাবে বাংলা ভাষাতেও পারদর্শী তিনি। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে মোদি-শাহর সঙ্গে সফল সৈনিক হিসেবে কাজ করেছেন। এবার বাংলায় একুশের বিধানসভা ভোট পরিচালনার দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া যেতে পারে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। শুধু সুনীল দেওধর নন, কেন্দ্র থেকে বিজেপির পঞ্চাশেরও বেশি বিজেপি সফল নেতারা কলকাতায় ঘাঁটি গাড়তে পারনে বলে সূত্রের খবর। তাঁরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছেন।