বুলবুলের মোকাবিলায় চূড়ান্ত সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। নবান্ন থেকে অনবরত আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে জেনে নেওয়া হচ্ছে ঘূর্ণঝড়ের সর্বশেষ অবস্থান। আবহাওয়া দফতর ইতমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, সুন্দরবন এলাকাতেই শনিবার রাতে আঘাত হানবে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতাতেও শনিবার ব্যাপক দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় পঞ্চাশ থেকে ষাট কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। আবহাওয়া দফতরের এই পূর্বাভাসের জেরে বুলবুলের মোকাবিলায় নবান্নের মতোই চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে কলকাতা পুরসভা। ঠিক যেরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল কয়েকমাস আগে ঘূর্ণিঝড় ফণী আছড়ে পড়ার সময়।
আরও পড়ুন- বাংলাতেই আঘাত হানবে বুলবুল, ১৩৫ কিলোমিটার গতিতে তছনছ হতে পারে সুন্দরবন
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল, জেনে নিন সুরক্ষিত থাকার উপায়গুলি
ফণীর বেলায় অবশ্য শেষ পর্যন্ত বেশি ভুগতে হয়নি কলকাতা- সহ গোটা রাজ্যকে। কারণ শেষ মুহূর্তে তা আঘাত হেনেছিল প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায়। সেই অভিজ্ঞতা মনে করেই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম আশাবাদী, 'সবাই মিলে সতর্ক থাকলেই পালিয়ে যাবে বুলবুল।'
বুলবুলের মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত দফতরের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। খুলে রাখা হচ্ছে কন্ট্রোল রুমও। বুলবুলের প্রস্তুতি নিয়ে কলকাতার মেয়র বলেন, 'কলকাতায় যদি বিপদের আশঙ্কা থাকে, তাহলে আমাকেও রাত জাগতে হবে। আমরা সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। কন্ট্রোল রুম খুলে রাখা হচ্ছে। আর সবাই মিলে যদি সতর্ক থাকি, তাহলে দেখবেন ফণীর মতো বুলবুলও পালিয়ে যাবে।'
বুলবুলের মোকাবিলায় চূড়ান্ত সতর্কতা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসনও। যে জেলাগুলিতে বুলবুলের প্রভাব সবথেকে বেশি পড়ার আশঙ্কা, সেই দুই চব্বিশ পরগণার উপকূলবর্তী এলাকাগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যাঁদের কাঁচা বাড়ি রয়েছে, তাঁদেরকেও নিরাপদ স্থানে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৈরি রাথা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণের ব্যবস্থাও তৈরি রাখা হয়েছে।