দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি টিকাকরণে গত কয়েক মাসে অনেকটাই গতি এসছিল বাংলাতেও। সার্বিক টিকাকরণের জন্য পুরোদমে প্রচার চালানো হয় কেন্দ্র রাজ্য উভয়ের তরফেই। কিন্তু তারপরেও এখনও কমেনি উদ্বেগ।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা মাথায় থাকলেও জোরদার টিকাকরণে(Corona Vaccine) বর্তমানে করোনা(Corona Virus) মুক্তির পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে গোটা দেশ। দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি টিকাকরণে গত কয়েক মাসে অনেকটাই গতি এসছিল বাংলাতেও(west bengal)। সার্বিক টিকাকরণের জন্য পুরোদমে প্রচার চালানো হয় কেন্দ্র রাজ্য উভয়ের তরফেই। কিন্তু তারপরেও এখনও কমেনি উদ্বেগ। পরিসংখ্যান বলছে তিলোত্তমার পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ এখনও নেননি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ। আর এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।
সহজ কথায় নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ (Second Dose) নিতে অনীহা রয়েছে একটা বড় অংশের কলকাতাবাসীর। আর এখানেই বাড়ছে উদ্বেগ। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে বুধবার পর্যন্ত কলকাতার প্রায় ৫ লক্ষের বেশি মানুষ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও নেননি কোভ্যাক্সিন (Covaxine) বা কোভিশিল্ডের (Covishield) দ্বিতীয় ডোজ। ওই পরিসংখ্যানেই আরও জানা যাচ্ছে ১৮ বছরের বেশি বয়সী শহরের প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যে কোভিড টিকার দুটি ডোজই গ্রহণ করেছেন। তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে জেলাগুলি।
আরও পড়ুন-“এই কমিশনকে দিয়ে দিয়ে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা সম্ভব নয়”, তোপ শমীকের
তবে আশার কথা এই পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশের মধ্যে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে ফেলেছেন। তবে চিন্চা রয়েছে দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে বাংলার জেলাগুলির ক্ষেত্রে মাত্র ৩৫-৪০ শতাংশ মানুষ কোভিড টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন। বাকিদের মধ্যে অনেকই এখনও প্রথম ডোজই নেননি। এদিকে টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ বাড়াতে ইতিমধ্যেই ফের জোরদার প্রচারাভিযান শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। হোর্ডিং, পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে।
আরও পড়ুন-প্রশাসনিক জটেই পিছিয়ে গেল হাওড়া পুরসভার নির্বাচন, বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতর
তবে এগিয়ে কাজে সবথেকে বেশি এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকেই। এগিয়ে আশার ডাক দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সমস্ত পুরসভা ও পঞ্চায়েত গুলিকেও। এমনকী প্রয়োজনে টিকা অসম্পূর্ণ রয়েছে এমন নাগরিকদের ফোন এবং এসএমএস করে টিকা নেওযার আবেদন জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। এদিকে টিকাকরণে গতি আনতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে একগুচ্ছ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। স্থানীয় স্তরে মানুষের ঘরের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে করোনা টিকা। চলছে মাইকিং। আসরে নেমেছেন সরকারি আমলারাও। বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে জেলা স্তরের সমস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতেও। কিন্তু তারপরেও কেন সাধারণ মানুষের হুশ ফিরছে না সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে সরকারকে।