নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগার পাশাপাশি সরকারেরও তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায় সুজনকে।
পুরভোট নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এদিকে বৃহঃষ্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে কলকাতা পুরসভার(Kolkata Municipality) ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হলেও তালিকায় নেই হাওড়ার নাম। এদিকে শুরু থেকে এই দুই পুরসভার নির্বাচন(Municipal polls) একসাথে হওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসনিক জটেই তা শেষ পর্যন্ত আটকে গিয়েছে। আর তাতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। এদিকে নির্বাচন পিছানো নিয়ে তৃণমূল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে(jagdeep dhankar) কাঠগড়ায় তুললেও পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি(BJP)। এদিকে ইস্যুতেই এবার নির্বাচন কমিশনকে একহাত নিতে দেখা গেল বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে((CPIM leader Sujan Chakraborty)।
ভোট পিছানো নিয়ে কার্যত চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "নির্বাচন কমিশন বলে কোনও বস্তু বাংলায় নেই। দখলদারির সময়টাকে নির্দিষ্ট করে ভোটের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী সুয়োমোটো বলেছিলেন, তারা এখন নোটিফিকেশন জারি করবেন না। নিজেরা যেটা বললেন, তার থেকে তারা সরে আসলেন কেন?" নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগার পাশাপাশি সরকারেরও তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায় সুজনকে।
আরও পড়ুন-প্রশাসনিক জটেই পিছিয়ে গেল হাওড়া পুরসভার নির্বাচন, বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতর
ভোট প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে ঘুরিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তুলোধনা করেন তিনি। তীব্র ভাষায় কটাক্ষবাণ শানিয়ে এদিন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে বলতে শোনা যায়, “সরকার মানেও আসলে একজন। তিনি যা বলবেন, তাই হবে। বেআইনি পৌরসভা যেগুলো চলছে, সেখানে পৌরসভা করার কোনও বন্দোবস্ত নেই, সেগুলো বাদ। হবে খালি কলকাতা ও হাওড়া। দখলদারি পরিমাণ নির্দিষ্ট করে ভোট করতে চায় ওরা।” এদিকে সুজনের এই প্রতিক্রিয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। তবে তৃণমূলের তরফে সুজনকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন-গোয়া-অসম-ত্রিপুরার পর নজরে হরিয়ানা, বড় দায়িত্বে সুখেন্দু শেখর রায়
এদিকে আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পৌরসভার ভোট। বিজ্ঞপ্তি জারি করে বৃহঃষ্পতিবার একথা জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) । সকাল ৭টা থকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া। পুরভোটের গণনা হবে সম্ভবত ২১ ডিসেম্বর। ১ ডিসেম্বর নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়ন জমার শেষদিন। ২ ডিসেম্বর মনোনয়ন খতিয়ে দেখা হবে। ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ দিন বলে কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে কলকাতার জন্য দিনক্ষণ নির্দিষ্ট হলেও হাওড়ায় কবে তা হবে তা এখনও নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।