অ্যাম্বুল্যান্সকে নিয়ন্ত্রণ করতে আসছে আইন, রাজ্য় সরকারের নয়া পদক্ষেপ

  •  অ্যাম্বুল্যান্সকে নিয়ন্ত্রন করতে রাজ্য বিধানসভায় আসছে বিল 
  • পরিকাঠামো দেখে বিএলএস বা এএলএস রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে  
  • অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেনের তীব্রতা রোখারও সংস্থান থাকছে বিলে  
  •  সাইরেনের নির্ধারিত শব্দমাত্রা ছাড়ালে নেওয়া হবে আইনি পদক্ষেপ  

Ritam Talukder | Published : Feb 9, 2020 12:28 PM IST

প্রাণ বাঁচানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব যে বাহনের, তার বিরুদ্ধেই আইন ভাঙার ভূরি ভূরি অভিযোগ। তাই অ্যাম্বুল্যান্সকে নিয়ন্ত্রন করতে  খুব শিগগিরই রাজ্য বিধানসভায় বিল আসছে। অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেনের তীব্রতা রোখারও সংস্থান থাকছে বিলে। সাইরেনের শব্দমাত্রা বেঁধে দেওয়া হবে। নিয়ম না-মানলে নেওয়া হবে আইনি পদক্ষেপ। 

আরও পড়ুন, ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ, মুখ্য়মন্ত্রীর দ্বারস্থ সাউথ পয়েন্টের অভিভাবকরা


স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে খুব শিগগিরই বিধানসভায় পেশ হবে 'দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিস বিল ২০১৯'।  বর্তমানে রাজ্যে যত অ্যাম্বুল্যান্স চলে, সেগুলো রাজ্যের কোনও দপ্তরেই 'অ্যাম্বুল্যান্স' হিসেবে নথিভুক্ত নয়। মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্ট অনুযায়ী শুধুমাত্র একটি গাড়ি হিসেবে নথিভুক্ত সেগুলি। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, বিল পাশ হলে কোনও গাড়িকে অ্যাম্বুল্যান্স হিসেবে পথে নামানোর আগে 'অ্যাম্বুল্যান্স'-এর রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে। নিয়মিত সময় অন্তর রেজিস্ট্রেশন রিনিউও করাতে হবে।   নথিভুক্তিকরণের ব্যবস্থা না-থাকায় রাজ্যে এই মুহূর্তে কত অ্যাম্বুল্যান্স চলে, তার সঠিক সংখ্যা অজানা খোদ সরকারের।  এখন 'বেসিক লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুল্যান্স' (বিএলএস) এবং 'অ্যাডভান্স লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুল্যান্সে'(এএলএস) আইনি ভাবে পার্থক্য় নেই। অনেক সময়েই দেখা যায়, কোনও অ্যাম্বুল্যান্স এএলএস হিসেবে দাবি করলেও উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। নতুন আইনে রাজ্যের সমস্ত অ্যাম্বুল্যান্সকেই পরিকাঠামো বিচার করে বিএলএস অথবা এএলএস রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এক স্বাস্থ্যকর্তা।

আরও পড়ুন, করোনা ভাইরাসের থাবা এবার কলকাতাতে, হাসপাতালে ভর্তি যাদবপুরের প্রৌঢ়


শুধু পরিকাঠামোই নয়, অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেনের তীব্র আওয়াজও প্রশাসনের চিন্তার বিষয়। জাতীয় পরিবেশ আদালতে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের মামলার প্রেক্ষিতে অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেনের আওয়াজও বাঁধতে চায় রাজ্য। অ্যাম্বুল্যান্সের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের সময় সাইরেনের শব্দ নির্দিষ্ট মাত্রায় রয়েছে কি না, তা-ও পরীক্ষা করা হবে। পরিবেশ দপ্তর সূত্রে খবর, অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেনের শব্দমাত্রা দিনে সর্বোচ্চ ৬৫ ডেসিবেল ও রাতে ৫৫ ডেসিবেলের বেশি হবে না। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আইন কার্যকরী হলে অ্যাম্বুল্যান্সের সামনে স্বাস্থ্য দপ্তরের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট আটকিয়ে রাখতে হবে। জেলার ক্ষেত্রে মুখ্য জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং কলকাতায় রাজ্য ফ্যামিলি হেলথ অফিসারের অধীন টিম এক-একটি অ্যাম্বুল্যান্স পরীক্ষা করে রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার দায়িত্বে থাকবে।

Share this article
click me!