সংক্ষিপ্ত

  • করোনা ভাইরাসের থাবা এবার কলকাতাতে
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়েই তার শরীরে প্রমাণ মিলল করোনা ভাইরাসের
  • দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে প্রৌঢ়কে
  • এই না করোনা প্রবেশ করে শরীরে এই আতঙ্কেই প্রহর গুনছে কলকাতাবাসী

করেনা ভাইরাস। গোটা বিশ্বের কাছে এক ভয়ঙ্কর নাম এই করোনা। এই নামটা শুনলেই প্রত্যেকেই যেন আতঙ্কিত। মুহূর্তের মধ্যে একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস।  মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গেই ছড়িয়ে যাচ্ছে এই রোগের জীবানু। কোনওভাবেই আটকানো যাচ্ছে না এই ভাইরাসকে। সমস্ত সর্তকতাকে ছাপিয়ে গিয়ে করোনা ভাইরাসের থাবা এবার কলকাতাতে। বিশ্বের নানা প্রান্ত ঘুরে করোনার প্রবেশ ঘটেছে কলকাতায়। দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে প্রৌঢ়কে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়েই তার শরীরে প্রমাণ মিলল করোনা ভাইরাসের। রেসপিরেটরি প্যানেল টেস্টেই প্রমাণ মিলেছে করোনার।

আরও পড়ুন-ঘুমোতে যাওয়ার আগে মাথার নীচে এক টুকরো লেবু রাখুন, আর নিজে ম্যাজিকটা দেখুন...

করোনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই চারিদিকে যেন আতঙ্কের ছাপ ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের অন্যান্য রোগীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।  রোগী ছাড়াও অন্যান্য পরিবারের লোকেরাও রীতিমতো ভীত হয়ে রয়েছেন। নিজেদের প্রিয়জনকে আর রাখতে চাইছেন না এই হাসপাতালে। এই না করোনা প্রবেশ করে শরীরে এই আতঙ্কেই প্রহর গুনছে কলকাতাবাসী। যাদবপুরের বাসিন্দা এই প্রৌঢ় দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে ভুগছিলেন। এটা ছাড়াও একাধিক রোগ রয়েছে তার।

 

হাসপাতাল সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই বৃদ্ধ। কিন্তু চিনের করোনার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এই করোনা ভাইরাস অত্যন্ত ভাইরাস। আর অতি সাধারণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি। বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বৃদ্ধ। অযথা এই নিয়ে ভয় পাওয়ার বা গুজব ছড়াবার কোনও কারণ নেই। এই অবস্থায় সাধারণ এই ভাইরাসকে ঠেকানোর মতো প্রতিরোধ ক্ষমতা তার নেই। চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, ফুসফুসের সংক্রমণ এক ধরনের করোনা ভাইরাসের আক্রমনেই হয়।  ভাইরাল জ্বরের কোনও ওষুধ হয় না। কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। বাতাসে এমন সাধারণ করোনা ভাইরাসের জীবাণু ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই সবসময় বাইরে বেরানোর আগে মাস্ক পরে বেরান। এছাড়া বারবার হাত ধোওয়া অবশ্যই উচিত,  অসুস্থ ব্যক্তি সংস্পর্শে যাবেন না, সর্দি-জ্বর হলেও ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। এছাডা় বেশি বাড়াবাড়ি হলে ডাক্তারের কাছে যান। একই সঙ্গে বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও মাস্ক ব্যবহার করান।