আগে শুভেন্দুকে 'আলু বেচতে' বলেছিলেন, এখন 'স্বাগত' জানাচ্ছেন, ভোলবদল কল্যাণের

সংক্ষিপ্ত

  • ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়
  • রামনগরে শুভেন্দুর সভার পর ভোলবদল
  • নাম না করে শুভেন্দুকে 'আলু বেচতে' বলেছিলেন
  • এখন তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছেন কল্যাণ 

কয়েক দিন আগে পর্যন্ত নাম না করে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেছিলেন। কিন্তু, বৃহস্পতিবার রামনগরে শুভেন্দুর সভার পর ভোল বদলালেন সাংসদ কল্যাণ ব্য়ানার্জী। আগে নাম না করে বলেছিলেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় না আলু বেচতিস রে''। কিন্তু এখন সুর পাল্টে তাঁর মন্তব্য, ''আমি খুব খুশি, আমি ওঁর প্রতিটা কথাকে স্বাগত জানাচ্ছি''। ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন কল্য়াণ ব্যানার্জী।

আরও পড়ুন-একুশের নির্বাচনে কার্যকর হবে বাম-কংগ্রেস জোট, নাকি দুই দলের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই

Latest Videos

১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামের সভা থেকে কারও না করে তিব্র হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। লড়াইয়ের মাঠে দেখে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। শুভেন্দু এই মন্তব্য়ের পরই শ্রীরামপুরে টাউনহলে নাম না করে শুভেন্দুকে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বলেছিলেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নামে গাছের তলায় বড় হয়েছিস। ৪টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস। চারখানা চেয়ারে আছিস। কতগুলে পেট্রোল পাম্প করেছিস। মমতা না থাকলে মিউনিসিপালিটি বসে আলু বেচতিস রে। আলু বেচতিস''। শুভেন্দু নাম না করলেও কল্য়াণের নিশানায় যে তিনিই ছিলেন তা অনেকেই বুঝতে পেরেছিলেন।

আরও পড়ুন-বাংলার জনপ্রিয় জননেতা শুভেন্দু, জেনে নিন তাঁর রাজনৈতিক উত্থান ও সম্পত্তির পরিমাণ

এরপর, বৃহস্পতিবার রামনগরে সভা করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা থেকে তিনি বলেন, ''আমি এখনও একটা দলের প্রাথমিক সদস্য, আমি মন্ত্রিসভার সদস্য। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে তাড়ানি, আমিও ছাড়িনি''। শুভেন্দু এই মন্তব্য়ের পরই ভোল বদলাই কল্যাণের। এখন তিনি বলেন, ''আমি খুব খুশি, আমি ওঁর প্রতিটা কথাকে স্বাগত জানাচ্ছি। শিশির অধিকারী আমার পিতৃস্থানীয়। শ্রদ্ধা করি। তাঁর পরিবারের প্রতিও ভালবাসা আছে। আমি ঢাক বাজাই না, বুকও বাজাই না। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে আমারও ভূমিকা আছে। শুভেন্দু যা বলেন তা দলের জন্য ভাল। সবাই মিলে বিজেপিতে হঠাতে হবে''। 

আরও পড়ুন-কেন্দ্রের টাকা কী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় হিসেব চাইলেন অমিত মালব্য

প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকমাস ধরে দল থেকে দূরত্ব বজায় রেখে নিজস্ব ব্যানারে বিভিন্ন জায়গায় সভা করেছিলেন শুভেন্দু। এই অবস্থায় বিধানসভা ভোটের আগে তীব্র অস্বস্তি পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। শুভেন্দুর মন বুঝতে মমতার নির্দেশে কথা বলেছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। কথা বলেছিলেন সৌগত রায়ও। এরপরই, রামনগর সভায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন শুভেন্দু। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'দিদি আপনি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, এবার খাঁচায় উল্টো দিকে হেঁটে দেখাবেন' মমতাকে চরম কটাক্ষ রোদ্দুরের
‘মহরমে অস্ত্র থাকলে ঠিক আর রাম নবমীতে অস্ত্র থাকলেই ভুল!’ বিস্ফোরক মন্তব্য সুকান্ত মজুমদারের