বাংলায় একুশের বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই এবার জোটের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাম-কংগ্রেস। আসন সমঝোতার প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির দ্বারাই বাংলায় দুই শিবিরের আসন সমঝোতা হবে। বাম-কংগ্রেস জোট যে হচ্ছেই একথা আগেই ঘোষণা করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনেও জোট হয়েছিল। কিন্তু, সেসময় শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাঁত ফোটাতে পারেনি বাম কংগ্রেস জোট।
আরও পড়ুন-বাংলার জনপ্রিয় জননেতা শুভেন্দু, জেনে নিন তাঁর রাজনৈতিক উত্থান ও সম্পত্তির পরিমাণ
আরও পড়ুন-জনপ্রিয়তার শিখরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা, জেনে নিন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ
কিন্তু, বর্তমানে বদলেছে রাজ্য রাজনীতির সমীকরণ। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পর প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে উঠেছে বিজেপি। আগামী বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে রাজ্য জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। নবান্ন দখল করতে মরিয়া উঠেছেন মোদি-অমিত শাহ। একইসঙ্গে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের বিধানসভা ভোটের ফল বাড়তি অক্সিজেন দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। এই অবস্থায় ভোটের অনেক আগে থেকেই জোটের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাম-কংগ্রেস। কিন্তু ২০১৬-র নির্বাচনে সেই তৎপরতা দেখা যায়নি। যার প্রভাব পড়েছিল ভোটের ফলাফল। শাসকদলের বিরুদ্ধে কার্যত কাজেই দেয়নি সেই ভোট। যে কারণে নিচুস্তরের নেতাকর্মীদের মনোবল অনেকটাই ভেঙেছে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এবারের জোট কী আদৌ কার্যকর হবে?
আরও পড়ুন-জবকার্ড চাইতে গেলে দুই গৃহবধূকে 'বেধড়ক মার' বিজেপি নেতার, তাঁদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ
করোনা আবহে লকডাউনের সময় থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে সিপিএম। কম খরচে সাধারণ মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে শ্রমজীবী ক্য়ান্টিন চালু করেছে বাম শিবির। একইসঙ্গে, বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে একযোগে বিরোধিতা শুরু সিপিএম। তাঁদের মূল স্লোগান, 'বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও, তৃণমূল হটাও বাংলা বাঁচাও'। কেন্দ্রীয় নীতির বিরোধিতা একযোগে পথে নামতে দেখা গিয়েছে বাম ও কংগ্রেসকে। বাম-কংগ্রেস জোটের প্রতিপক্ষ এখন শুধু তৃণমূল নয়। রয়েছে বিজেপিও। তাহলে কী বাম-কংগ্রেস জোট আদৌ সফল হবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে। প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ। তাঁদের বিশ্লেষণ, ভোটের ফল নয়, বাংলায় অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে বাম-কংগ্রেস শিবির।