বাগুইআটিতে নিহত ছাত্রদের বাড়িতে মন্ত্রী সুজিত বসু ও বিধাননগরের সিপি, তদন্তে নামলেন সিআইডি কর্তারাও 

পুলিশ প্রশাসনের ‘দায়সারা মনোভাব’-এর বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই বাগুইআটিতে নিহত ২ ছাত্রের বাড়িতে গেলেন মন্ত্রী সুজিত বসু ও বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার। 

Sahely Sen | Published : Sep 7, 2022 3:50 PM IST

কলকাতার বাগুইআটিতে ২ ছাত্রের খুনের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  সোমবার বিকেলে নিহত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বাড়িতে গেলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা বাংলার মন্ত্রী সুজিত বসু। সেই সময়েই সেখানে উপস্থিত হন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার ও সিআইডির তিন সদস্যের একটি দল।

মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছিল নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। ২ ছাত্রের পরিবারের তরফ থেকে তাদের নিখোঁজের বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পরেও কেন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল না, সেই প্রশ্ন উঠছে। দুই নিহতের আত্মীয়দের দাবি, তাঁরা এর আগে সুজিত বসুর কাছেও গিয়েছিলেন, কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। নিহতদের পরিবারের প্রশ্ন হল, মুক্তিপণ চেয়ে এসএমএস আসার কথা জানিয়ে নিকটস্থ থানায় এফআইআর দায়ের করার পরেও তদন্তে গড়িমসি কেন।

গোটা ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাগুইআটির দুই নাবালক খুন হওয়ার ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যর সামনেই বুধবার তিনি ভর্ৎসনা করলেন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকারকে। নবান্ন সূত্রে খবর, পুলিশ প্রশাসনের ‘দায়সারা মনোভাব’-এর বিরুদ্ধেও কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পরেই বিকেলে নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন পুলিশ কমিশনার।

খুন হওয়া দুই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন সিপি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই পড়ুয়ার পরিবারকে যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পুলিশি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে মূলত বাগুইআটির থানার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন নিহতদের পরিবারেরা। সেই কারণেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল তাঁদের পক্ষ থেকে। কিন্তু, বর্তমানে তদন্তভার সিআইডির হাতে হস্তান্তরিত হওয়ায় আপাতত ভরসা রাখছে দুই পরিবার। 


বাগুইআটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র অতনু দে এবং অভিষেক নস্কর, দুজনেরই বয়স ১৬ বছরের কাছাকাছি। মাধ্যমিকের এই দুই পড়ুয়া গত ২২ অগাস্ট বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। ২ দিন কেটে যাওয়ার পরেও তাদের কোনও খোঁজ না পেয়ে বাগুইআটি থানায় অপহরণের অভিযোগ জানায় দুই পরিবার। অতনুর বাবা অভিযোগ করেছিলেন, তিনি মুক্তিপণ চেয়ে ‘মেসেজ’ পেয়েছেন। অপহরণকারীরা বার বার মুক্তিপণের অঙ্ক বদলেছে বলেও অভিযোগ ছিল তাঁর। অভিযোগ করার প্রায় ১৩ দিন পর মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাট পুলিশের মর্গ থেকে উদ্ধার হয় অতনু এবং অভিষেকের দেহ। তদন্ত করে জানা যায়, সত্যেন্দ্র চৌধুরি নামে কোনও এক ব্যক্তি ওই দু’জনকে খুন করেছে। এই কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে সেই সত্যেন্দ্র এখনও অধরা। তাকেই অতি শীঘ্র গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছে দুই নাবালকের পরিবার। 

আরও পড়ুন-
নিয়োগ কমিটির অনুমতি ছাড়া কোনও দফতরে নিয়োগ নয়: নবান্ন থেকে কড়া নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সিবিআইয়ের পরেই ইডি, মন্ত্রী মলয় ঘটককে একের পর এক কেন্দ্রীয় সংস্থার তলব চিঠি
আত্মপ্রত্যয়ের স্ফুরণ ছড়িয়ে দিতে চোরবাগান সার্বজনীনের থিম ‘অন্তর্শক্তি’, সম্মান জানাল স্বয়ং ইউনেস্কো

Share this article
click me!