পিছিয়ে গেল মুকুল মামলার শুনানি, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্বস্তিতে বিজেপি নেতা

  • দিল্লি হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল মুকুল মামলার শুনানি
  • বৃহস্পতিবার ফের মামলা উঠবে আদালতে
  • রাজ্যের আইনজীবীই সময় চেয়ে নেন বিচারপতির কাছে

debamoy ghosh | Published : Jul 30, 2019 11:35 AM IST

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পিছিয়ে গেল দিল্লি হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল মুকুল রায় মামলার শুনানি। ফলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও এখনই তার বিরুদ্ধে সম্ভবত কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কলকাতা পুলিশ। এ দিন দিল্লি হাইকোর্টের রাজ্য সরকারের আইনজীবীর বক্তব্যে অন্তত সেরকমই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। 

এক সরকারি কর্মীর থেকে বেহিসেবি টাকা উদ্ধারের মামলায় মুকুল রায়কে জেরা করতে চেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। অভিযোগ, আদালত থেকে সমন পাঠানোর পরেও পুলিশের সামনে আসেননি মুকুল। এর পরেই সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ব্যাঙ্কশাল আদালত। 

আরও পড়ুন- মমতার নির্দেশেই হেনস্থা, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর অভিযোগ মুকুলের

আরও পড়ুন- ফোন করলেও কেউ ধরবে না, 'দিদিকে বলো' নিয়ে মমতাকে তোপ মুকুলের

কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে আগেই দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এ দিন সেই মামলারই শুনানি ছিল। মামলাটি এ দিন দুপুরে দিল্লি হাইকোর্টে উঠলে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন মুকুলের আইনজীবী। কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে মুকুল রায়া এবং তাঁর আইনজীবী জানান, সোমবারই রাতেই মামলার কাগজপত্র হাতে পান রাজ্যের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথ্রা। ফলে তিনি সব কাগজ দেখে উঠতে পারেননি। রাজ্য সরকারের আইনজীবীই মামলা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান বলে দাবি করেছেন মুকুলের আইনজীবী। ওই মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার সকালে হবে দাবি করেছেন মুকুল রায়ের আইনজীবী। 

মুকুলের আইনজীবী দাবি করেন, গ্রেফতারি পরোয়ানার কথা বলে তাঁরা আদালতের কাছে দ্রুত শুনানির আবেদন করেছিলেন। কিন্তু রাজ্যের আইনজীবীই তখন আদালতকে আশ্বস্ত করে একদিন সময় চেয়ে নেন। যেহেতু রাজ্যের আইনজীবী শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন, তাই স্থগিতাদেশ জারি না হলেও বৃহষ্পতিবারের মধ্যে পুলিশ মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বলেই দাবি মুকুলের আইনজীবীর।

মুকুল রায় এ দিনও অভিযোগ করেন, আদালতের কাছে তথ্য গোপন করে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না জারি করিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তিনি দিল্লিতে পুলিশের জেরার মুখোমুখি হতে রাজি ছিলেন বলেও দাবি মুকুলের। শুধু তাই নয়, তাঁর অভিযোগ টাকা উদ্ধার কাণ্ডে তিনি অভিযুক্ত নন। সাক্ষী হিসবে তাঁকে ডাকা হয়েছে। তিনি সাক্ষী দিতে না চাইলেও তাঁকে জোর করতে পারে না পুলিশ। 
 

Share this article
click me!