সংক্ষিপ্ত
- মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল ব্যাঙ্কশাল আদালত
- আদালত অবমাননার অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- মমতার নির্দেশেই হেনস্থা, অভিযোগ মুকুলের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই পুলিশ তাঁকে হেনস্থা করছে। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরে এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। গ্রেফতারি এড়াতে মঙ্গলবার সকালেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন বিজেপি নেতা।
এক বছর পুরনো একটি মামলায় কলকাতা পুলিশ একাধিকবার ডেকে পাঠালেও মুকুল রায় হাজিরা দেননি বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত সোমবার মুকুল রায়কে আদালতে হাজির করানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক। ২৯ অগস্টের মধ্যে মুকুল রায়কে আদালতে হাজির করানোর জন্য সোমবার বড়বাজার থানার ওসি-কে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন- ১০৭ বিধায়ক ভাঙানোর হুমকি মুকুলের, 'ছেলেটাকে ধরে রাখতে পারবেন তো', পাল্টা অভিষেক
২০১৮ সালের ৩১ জুলাই হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা এক রেলকর্মীর কাছ থেকে বড়বাজার থানার এলাকা থেকে হিসেব বহির্ভূত আশি লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তিকে জেরা করে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নাম উঠে আসে। এর পরই জেরা করার জন্য ডেকে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে বিষয়টি আদালতে জানায় পুলিশ। মুকুলকে ডেকে পাঠিয়ে আদালত থেকেও তিন বার সমন যায়। অভিযোগ তার পরেও মুকুল হাজিরা দেননি।
কলকাতা পুলিশের এই পদক্ষেপের পাল্টা দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন মুকুল রায়। সেখানে তিনি আবেদন করেন, যেহেতু তিনি দিল্লির বাসিন্দা, তাই তাঁকে সেখানে গিয়ে জেরা করতে হবে পুলিশকে। সেই মামলা এখনও চলছে দিল্লি হাইকোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলার ফের শুনানি হতে পারে। এরই মধ্যে মুকুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ব্যাঙ্কশাল আদালত।
মঙ্গলবার পুরুলিয়ার একটি অনুষ্ঠানে মুকুল অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা করছে কলকাতা পুলিশ। মুকুল বলেন, 'আমাকে একটা ২০১৮ সালের একটি ঘটনায় সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছে। আবার সেই মামলাতে আদালতে সাক্ষী দিতে হাজির হচ্ছি না বলে আমার বিরুদ্ধে একটা মামলা হয়েছে, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আমি যদি সাক্ষী দিতে আদালতে হাজির হই তাহলে আমার বিরুদ্ধে তো মামলা হতে পারে না। আসলে কলকাতা পুলিশ এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদলেহনে ব্যস্ত। তাই আমাকে হেনস্থা করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কোন কাজটা করা উচিত আর কোনটা নয়, কলকাতা পুলিশ সেটা গুলিয়ে ফেলেছে।’