কলকাতা পুলিশের দেওয়া তথ্যে পর্দাফাঁস দেবাঞ্জনের। কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে প্রকাশ্য়ে এসেছে দেবাঞ্জনের অন্তহীন অপরাধের লিস্ট। যার মধ্যে বিশ্ব বাংলার লোগো থেকে শুরু করে নবান্নের জাল লেটারহেডের ব্যবহার, কি নেই সেখানে। বুদ্ধি করে অপরাধের গুটি সাজিয়েও ধরা পড়ে যান জেনেটিক্সে এমএসসি পাশ করা দেবাঞ্জন।
আরও পড়ুন, ভ্য়াকসিনের নামে অ্যামিকাসিন দিতেন দেবাঞ্জন, কসবাকাণ্ডে ধৃত আরও ৩
ইতিমধ্য়েই দেবাঞ্জনের একের পর এক অপরাধের লিস্ট প্রকাশ্য়ে এসেছে। দেবাঞ্জনের নীল বাতির গাড়িতে পাওয়া গিয়েছে বিশ্ব বাংলার লোগো। পুরসভার অফিসারদের সই জাল করা ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট, নবান্নের জাল লেটারহেডে ব্য়াক্তিগত রক্ষী নিয়োগ ইতিমধ্যেই পর্দাফাঁস হয়েছে। নিজেকে পুরসভার যুগ্ম কমিশনার হিসেবে পরিচয় দিয়ে এসেছেন এতদিন ধৃত। তবে গল্প এখানেই শেষ নয়, ভ্যাকসিন নিয়ে প্রচুর খেটেছেন ভুয়ো আইএএস। শিয়ালদহ থেকে কোভিশিল্ড, স্পটনিকের জাল লেবেল ছাপানো,কসব সহ একাধিক জায়গায় সরকার ব্যানার টাঙিয়ে ভুয়ো টিকাকরণ শিবির,টিকা দেওয়ার নামে সংস্থার নামে ১.১১ লক্ষ টাকা হাতানো, স্টেডিয়ামের বরাত নেওয়ার নামে ৩৬ লক্ষ টাকা নেওয়া, টেন্ডার পাইয়ে দেবার নামে বেহালার এক ব্যাবসায়ীর থেকে ১০ লক্ষ টাকা নেওয়া-এসবের কীতৃত্ব রয়েছে জেনেটিক্সে এসএসসি করা গুণধর দেবাঞ্জনের।
আরও পড়ুন, আচমকাই ফের বাড়ল সংক্রমণ, শুধু পশ্চিমবঙ্গেই আক্রান্ত ১৫ লাখ ছুঁইছুঁই
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার দাবি, কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে দেওয়াই হয়নি কোভিশিল্ড বা কোভ্য়াক্সিন। এবিষয়ে নিয়ে ডেপুটি সিএমওএইচ জানিয়েছেন, সাধারণত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ভায়ালে ব্যাচ নম্বর, এক্সপেয়ারি ডেট, ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট লেখা থাকে। কিন্তু দেবাঞ্জনের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া টিকাগুলির মধ্যে কিছু ভায়ালে ব্যাচ নম্বর, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং এক্সপেয়ারি ডেট মেলেনি। শিশির আয়তনও তুলনামুলকভাবে ছোট। লেখা ছিল না কোম্পানির নম্বরও। বরো চেয়ারম্যান বলেছেন, এত টিকা কোথা থেকে এল, তা জানি না।'