আসানসোলের ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭৮ টি ওয়ার্ডের প্রার্থী তালিকা সামনে নিয়ে এলেন জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। অ্ন্যদিকে রাজ্যে একমাত্র শিলিগুড়ি পুরনিগম ছিল বামেদের দখলের। কিন্তু সেখানেও হল না জোট।
কলকাতার ভোট(KMC Election) পর্ব মিটতেই এবার উত্তেজনা বাড়ছে রাজ্যের অন্যান্য জেলায়। ইতিমধ্যেই চার পৌরনিগমে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। আর তারপরেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী সব পক্ষই। এদিকে কলকাতা পুরভোটের(Kolkata election) পর অন্যান্য পৌর নিগম গুলিতেও এবারে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে বাম-কংগ্রেস জোট(Left-Congress alliance)। তবে জোট বা আসন সমঝোতা যে হচ্ছে না, আগেই সে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাম ও কংগ্রেস নেতারা। আসানসোলের ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭৮ টি ওয়ার্ডের প্রার্থী তালিকা সামনে নিয়ে এলেন জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। অ্ন্যদিকে রাজ্যে একমাত্র শিলিগুড়ি পুরনিগম(Siliguri Municipality) ছিল বামেদের(CPIM) দখলের।
তবে এবারের পৌরসভা নির্বাচনে(municipal elections) শিলিগুড়ি পুরনিগম দখলে জোট করে লড়তে দু'বার সমঝোতা নিয়ে আলোচনায় বসে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে সেখানেও বেরোয়নি কোনও সমাধান সূত্র। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার জোট উপেক্ষা করেই ১৫ টি আসনে নিজেদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। বামেরা আবার ৪২ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বাকি আর ১২ টি আসনে প্রার্থী ঘোষমা হয়নি। তবে ঘোষিত আসনগুলির মধ্যে ৭ টি ওয়ার্ডে বাম কংগ্রেস উভয়েই প্রার্থী দিয়েছে। ফলে শিলিগুড়িতেও যে মুখ থুবড়ে পড়ল বাম-কংগ্রেস জোট তা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে এই প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছে গতবারের কংগ্রেসের জেতা ৪ টি ওয়ার্ড। পাশাপাশি বাকি যে সমস্ত ওয়ার্ডগুলিতে দ্বিতীয় স্থানে ছিল কংগ্রেস সেখানেও প্রার্থী দেওয়া হয়েছে দলের তরফে।
আরও পড়ুন-পদ্ম হোক বা ঘাসফুল, বছরভর বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে থেকে এই দিকপাল নেতারা
এদিকে আবার আসানসোলের ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭৮ টি ওয়ার্ডে সিপিআইএম প্রার্থীর সংখ্যা ৬২, ফরওয়ার্ড ব্লকের ১১ জন এবং সিপিআই-র প্রার্থী রয়েছে ৫ জন। বাকি ২৮ টি ওয়ার্ডের প্রার্থীতালিকা দিন দুয়েকের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে বলে বাম নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে। এদিকে জোট ভাঙা প্রসঙ্গে আসানসোলের বাম নেতৃত্বের দাবি, আঞ্চলিক সমীক্ষা করে যদি দেখা গিয়েছে তৃণমূল বা বিজেপিকে পরাস্ত করতে পারবে এমন অনেক নির্দল প্রার্থী রয়েছেন। প্রয়োজনে একাধিক ওয়ার্ডে তাদের সমর্থন জেবে বামেরা। কুলটি পুরসভা, জামুড়িয়া পুরসভা ও রানিগঞ্জ পুরসভাকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে বামেরা। ইতিমধ্যেই ঠিক হয়ে গিয়েছে প্রচারের রণকৌশল। বাম-কংগ্রেসের মতো প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরেও। শিলিগুড়ি জেলা পদাধিকারী প্রদীপ চৌধুরী ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে বাণী পালকে প্রার্থী করায় বেড়েছে দলীয় জটিলতা।