- Home
- West Bengal
- Kolkata
- Roundup 2021: পদ্ম হোক বা ঘাসফুল, বছরভর বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে থেকে এই দিকপাল নেতারা
Roundup 2021: পদ্ম হোক বা ঘাসফুল, বছরভর বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে থেকে এই দিকপাল নেতারা
- FB
- TW
- Linkdin
নির্বাচনে উস্কানিমূলক মন্তব্য, খুনের হুমকি, ভয় দেখানো, ভোট লুট, নির্বাচনে বাধার অভিযোগে জন্য প্রতি ভোটের সময় খবরের শিরোনামে থাকেন বীরভূমের তৃণমূল প্রধান অনুব্রত মন্ডল(Birbhum TMC chief Anubrata Mandal)। গত বিধানসভা ভোটের সময়ও তার অন্যথা হয়নি। বিজেপি-র তুলোধনা করতে গিয়ে প্রকাশ্যেই খুনের হুমকি দিয়ে বসতে দেখা যায় তাঁকে। প্রকাশ্যেই তিনি বলেন, “২০১১ তে খুন হয়েছিল, ২০১৪ তে খুন হয়েছিল, ২০১৯ এ খুন হয়েছিল। এবারেও হবে।”
এদিকে কিছু মাস আগেই ছাত্র আন্দোলনের(student movement) আবহে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস(Visva-Bharati Campus of Santiniketan)। সেই সময় ক্যাম্পাসের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'বিশ্বভারতীতে ছেলে-মেয়েরা নাকি ব্যাপক নেশা করছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে হয়তো সুইসাইড করতেন।” তাঁর এই মন্তব্য নিয়েও ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় শিক্ষা মহলে।
এদিকে সম্প্রতি বীরভূমের দেউচা-পাচামিতে(Deucha-Pachami of Birbhum) কয়লা খনি তৈরি নিয়ে বারেবারে বিতর্ক বেঁধেছে রাজনৈতিক মহলে। কয়েকদিন আগেই দেউচা পাচামি প্রকল্পের সমর্থনে তৃণমূলের মিছিলের উপর আক্রমণ করেন আদিবাসী মহিলারা। তাদের সাফ দাবি ছিল নিজ ভূমি হারিয়ে কোনও প্রকল্পই তারা ওই এলাকায় চান না। অনুব্রতের দাবি, ওই মহিলাদের মদ খাইয়ে শিখিয়ে পড়িয়ে আনা হয়েছিল। এই কাজ নাকি করেছিল বিরোধীরা।
অন্যদিকে বিতর্কিত মন্তব্য করার নিরিখে অনু্ব্রতে কার্যত বরাবরই সমানে সমানে টক্কর দিয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ(BJP's all-India co-president Dilip Ghosh)। সম্প্রতি তৃণমূল সরকারের লক্ষী ভাণ্ডারের প্রকল্পের জন্য যে সমস্ত মহিলারা লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম জমা দিচ্ছেন তাদের ভিখারি বলে কটাক্ষ করেন এই গেরুয়া নেতা। যা নিয়েও বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে।
কিছুদিন আগেই রামকৃষ্ণ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে(Ramakrishna and Rabindranath Tagore) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়েন দিলীপ ঘোষ। তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁর দাবি ছিল রামকৃষ্ণদেব সব চেয়ে বড় অশিক্ষিত। অথচ তাঁর বাণী নিয়েই সমাজ এগিয়েছে। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তো বেশি দূর পড়াশোনা করেননি। মাত্র অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন।
তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে সম্প্রতি ফের মহিলাদের জড়িয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বললেন, ‘তৃণমূলে একজনই পুরুষ, বাকি সবাই মহিলা।’ তাঁর এই নারী বিদ্বেষী মন্তব্য নিয়েও ব্যাপক তরজা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।
অন্যদিকে বিধানসভা ভোটের আগে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) আক্রমণ করতে গিয়েও একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন দিলীপ। ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী পা ভাঙার ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে দিলীপকে বলতে শোনা যায়, “প্লাস্টার কাটা হয়ে গেল। ফের ব্যান্ডেজ বাধা হয়ে গিয়েছে। আর পা তুলে তুলে সবাইকে দেখাচ্ছেন। এই ভাবে কাউকে নাটক করতে দেখিনি। যদি পা'টা বের করে রাখতে চান, তাহলে শাড়ি কেন বারমুডা পরতে পারেন।”
বিতর্কিত নেতাদের তালিকায় বরাবরই শীর্ষ স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরা মুকুল রায়কেও। তবে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি-তে নাম লেখানোর আগে তিনি যদিও ঘাসফুল শিবিরেই ছিলেন। সম্প্রতি বোলপুরে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল রায়(Mukul Roy) বলেন, “এই পুরনির্বাচনে সাড়া পশ্চিমবাংলায় বিপুলভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি জয়ী হবে।” যা নিয়েও জলঘোলা হয় বিস্তর।
অন্যদিকে মজার ছলে রাজনৈতিক মন্তব্য রাখতে বরাবরই সিদ্ধহস্ত তৃণমূল নেতা মদন মিত্র(Trinamool leader Madan Mitra)। বিতর্কিত মন্তব্য করতেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার। কয়েক মাস আগে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে কটাক্ষ করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন তিনি। সেই সময় মদনকে বলতে শোনা যায়, “উনি যেখানেই যান, সবসময় সেখানে কেন কালো পতাকা দেখানো হয়? আমি ছোটবেলায় শুনতাম, কালো কুকুর বেশি চিৎকার করে। ওঁনার কি কালো রং প্রিয়?”