'১৪ তলাকে একধাক্কায় লোপাট করতে হবে', টেট চাকরি প্রার্থীদের সমর্থনে প্রতিবাদী নাগরিক মঞ্চে মন্দাক্রান্ত সেন

টেট চাকরি প্রার্থীদের ওপর পুলিশের নির্যাতনের প্রতিবাদে ধর্মতলায় নাগরিক মঞ্চের মিছিল। বিশিষ্টদের সঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। পতাকা-বিহীন মিছিলে সামিল প্রচুর সাধারণ মানুষ।

Saborni Mitra | Published : Oct 22, 2022 12:48 PM IST / Updated: Oct 22 2022, 06:27 PM IST

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে টেট চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিশের নির্যাতনের অভিযোগে শনিবার বিকেলে পথে নামল নাগরিক মঞ্চ। কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা ছাড়াই এই মিছেলের আয়োজন করা হয়। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি রাজ্যের ছাত্র, যুব, অধ্যাপক, লেখক, বুদ্ধিজীবীরা এই মিছিলে সামিল হন। দীর্ঘদিন রাজ্যে চলা শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়ে। 

মিছিলে যোগদিয়েছিলেন লেখিকা মন্দাক্রান্তা সেন। তিনি বলেন, রাজ্য যেভাবে চলছে তা আর সহ্য করা যাচ্ছে না। এবার সকলেই একসঙ্গে পথে নামতে হবে। এখানেই শেষ না করে তিনি জানিয়েছেন, '১৪ তলায় যে শয়তান তৈরির কারখানা তা যাতে একধাক্কায় লোপাট করা যায় তার চেষ্টা এটা।'

এই মিছিলে অংশ নিয়েছেন, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র, পরিচালক অনীক দত্ত, অভিনেতা দেবদূত ঘোষ। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও এই মিছিলে সামিল হয়েছেন। রয়েছেন সিপিএম নেতা বিমান বসু, আব্দুল মান্নান, ধর্মতলার ভিক্টোরিয় হাউসের সামনে থেকে মিছিল শেষ হয়। মিছিলেন গন্তব্য অ্যাকাডেমির সামনে। সেখান থেকেই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা টেট চাকরিপ্রার্থীদের সমর্থনে গান করেন। 

কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, 'আমরা ইতিহাসে অনেক স্বৈরাচারী শাসক দেখেছি. তাঁদের বিরুদ্ধে গণআন্দোনও হয়েছে। আজকে পশ্চিমবঙ্গে যা ঘটেছে তা ব্যাতিক্রমী নয়।' টাটা প্রসঙ্গ উত্থাপন তিনি বলেন মমতা প্রলাপ বকছেন। 

পবিত্র সরকার জানিয়েছেন, অন্যায়ের অপশাসনের বিরুদ্ধে নাগরিকদের এই মিছিল। অভিনেতা দেবদূত বলেন, 'এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাই। তাই টার্গেট করা হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে। আর নতুন সভাপতি গৌতন বাবু আগের সভাপতিদের দায় ঝেড়ে ফেলতেই ব্যস্ত।' 

করুণাময়ী-কাণ্ডে  গতকাল মুখ খুলেছিল রাজ্যের বুদ্ধিজীবী মহল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আন্দোলনরত টেট উত্তীর্ণদের জোর করে তুলে দিয়েছিল পুলিশ। শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে টলিগঞ্জের শিল্পীরা। এদিন সকালেই টুইট করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন অপর্ণা সেন। তিনি বলেন, 'তৃণমূল সরকার অনশনকারীদের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্গন করেছে। আহিং আন্দোলনে ১৪৪ ধারা জারি করা হল কেন? পশ্চিমবঙ্গ সরকারে এই গণতান্ত্রিক ও অনৈতিক কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।' 

শুধু অপর্ণা সেনই নন, কৌশিক সেনের নেতা তথা অভিনেত ঋদ্ধি সেনও এই করুণাময়ীকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি ফেসবুক পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পুলিশকে ধিক্কার জানিয়েছেন। তিনি  আরও বলেছেন, এক শান্তিপূর্ণ ও  যোগ্য আন্দোলনের গায়ে আঘাত করা হয়েছে। এখানেই শেষ না করে ঋদ্ধি বলেছেন, 'এর মাশুল গুণতে হবে রাষ্ট্রকে।'

২১এর আগেই বিয়ে হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গে ও ঝাড়খণ্ডের মেয়েদের, কেন্দ্রীয় রিপোর্ট মানতে নারাজ রাজ্য

করুণাময়ী-কাণ্ডে সরব অপর্ণা সেন, ঋদ্ধি আর কমলেশ্বরের ফেসবুকে পুলিশের নিন্দা

Netaji death mystery: গুমনামি বাবাই কি আসলে নেতাজী? CFL ডিএনএ রিপোর্ট প্রকাশ না করায় উঠছে প্রশ্ন

Share this article
click me!