বেলেঘাটা শিশু খুনে উঠে আসল নতুন তথ্য়। অভিযুক্ত সন্ধ্যা মালো জৈনের মোবাইল ফোন থেকে হদিশ মিলল হরিয়ানার এক যুবকের। তদন্তকারীদের অনুমান, সন্তানের প্রতি এই নৃশংস আচরণের পিছনে বড়সড় ভূমিকা রয়েছে ওই যুবকের। দফায় দফায় জেরা, মোবাইলের কললিস্ট খতিয়ে দেখা এবং মনোবিদের পরামর্শ কোনও কিছুই বাদ দিচ্ছেন না বেলেঘাটার থানার তদন্তকারীরা। আর তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য।
আরও পড়ুন, করোনা ভাইরাস থেকে কীভাবে নিজেকে বাঁচাবেন, জেনে নিন হু-র পরামর্শ
সূত্রের খবর, ১৫ দিন ধরে ঠান্ডা মাথায় সন্তানকে খুনের ছক কষা হয়েছিল। এরপর পরিকল্পনা মাফিক কোনওকিছুতেই ফাঁক রাখেনি বেলেঘাটা সিআইটি রোডের অভিজাত আবাসনের ওই বাসিন্দা সন্ধ্যা মালো জৈন। কিন্তু তা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হয়নি। তদন্তকারীদের দফায় দফায় জেরায় উঠে আসছে একের পর এক বিস্ময়কর তথ্য়। হরিয়ানার ওই যুবকের সঙ্গে সন্ধ্যা মালো জৈন-র প্রায় ১০ বছরের সম্পর্ক। এমনকি বছর দুয়েক আগে গর্ভপাতও করিয়েছিলেন সন্ধ্যা মালো। তদন্তকারীদের একটি বিষয়ে খটকা লাগে, সন্ধ্যা তার বড়ছেলের ছবি বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে পোস্ট করলেও সদ্যজাত মেয়ের কোনও আপডেট সোশ্য়াল মিডিয়ায় শেয়ার করেননি। একটুকুও প্রকাশ করেননি যে, তাঁর কন্যাসন্তান হয়েছে।
আরও পড়ুন, ১৮২ জন তরুণীর অশ্লীল ভিডিও তুলে ফাঁস করার হুমকি, গ্রেফতার কলকাতার ৩ যুবক
লালবাজারের কয়েকজন দক্ষ মহিলা পুলিশ আধিকারিককে, সন্ধ্যা মালো জৈনকে জেরা করার জন্য় দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর তাঁদের জেরাতেই শেষ পর্যন্ত উঠে আসে সন্ধ্যা এবং হরিয়ানার যুবকের সঙ্গে পরকীয়ার কথা। গোটা ঘটনায় কীভাবে জড়িত হরিয়ানার ওই যুবক, তাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে এই নৃশংস খুনের ভয়াবহতা দেখে সন্তানটি সন্ধ্যার নিজের কি না, এনিয়েও প্রশ্নও উঠেছে । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই কারণেই সানায়ার ডিএনএ টেস্ট করা হবে।