কফি হাউস আজও আপামর বাঙালির গর্ব। মান্নাদের গাওয়া বাংলা গান 'কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই..', আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। আর সেই কফি হাউসে নাকি বাংলায় কথা বলা যাবেনা, এমনকি মান্না দে-কেও চেনেননা কফি হাউসের এক কর্মী। যে কফি হাউস কলকাতা শহরের অন্য়তম প্রাণকেন্দ্র, তার বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ইন্দ্রানী চক্রবর্তী নামে এক তরুণী। আর এখান থেকেই শুরু হয় নতুন বিতর্ক।
আরও পড়ুন, গলায় কুকুরের বেল্টের ফাঁস, বন্ধুর ফ্ল্যাটের সিঁড়িতে কিশোরের রহস্যমৃত্যু
সোশ্যাল মিডিয়ার ওই পোস্ট থেকে জানা যায়, সম্প্রতি ইন্দ্রানী চক্রবর্তী নামে ওই তরুণী তার তিন বন্ধুকে নিয়ে কফি হাউসে গিয়েছিলেন। আর সেখানে তাঁর মোবাইলে চার্জ দিতে গিয়েই কফি হাউসের এক কর্মীর সঙ্গে তাঁদের বচসা বাধে। ইন্দ্রানী জানান যে, তিনি প্রায়শই কফি হাউসে আসেন কিন্তু কখনও এমন অসুবিধায় পড়েননি। কফি হাউজের সেই কর্মী সাফ জানিয়ে দেন, মোবাইলে চার্জ দিতে হলে মালিকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। অথচ এই সহজ সত্য়টা প্রায় সব বাঙালিই জানেন কফি হাউস একটি সমবায়ের মাধ্য়মে চলে। তারপর ওই স্বঘোষিত মালিককে পাওয়া যায়। সে আবার বলেন যে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে হিন্দিতে কথা বলতে হবে। কারণ তিনি বাংলা বোঝেন না। তবে এখানেই শেষ নয়, ঘটনার প্রতিবাদে ইন্দ্রানী ওই স্বঘোষিত মালিককে, মান্না দের প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁকে জানান, মান্না দে-র গান শুনেই বাঙালি বড় হয়েছে। নতুন প্রজন্মের খুবই কাছের, কফি হাউস । আর তিনিও যে বাঙালি। ওই ব্য়ক্তি তখন প্রশ্ন করেন 'মান্না দে কৌন হ্যায়?' তারপর তরুণীকে তিনি বাংলায় কথা বলা যাবেনা বলে কফি হাউস থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এরপর কফি হাউসের সামনে, বাংলা ভাষা প্রচারের সঙ্গে যুক্ত একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
আরও পড়ুন, শুধু কালী নয়, কালী ঘাটের মা পূজিত হন লক্ষী রূপেও
আর এরপরেই সম্বিত ফেরে কফি হাউস কর্তৃপক্ষের। কফি হাউস পরিচালন সমিতির সম্পাদক তপন পাহাড়ি সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে ,তাদের কোনও কর্মী এমন কথা বলতে পারেননা। যদি বলেও থাকেন, সেই তরুণী কফি হাউসের পরিচালন সমিতিতে অভিযোগ জানাতে পারতেন। তা না জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ভাবে পোস্ট করার জন্য় তারা তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি আরও বলেন যে ,ইতিমধ্য়েই তারা ওই তরুণীর বিরুদ্ধে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগ করেছেন। যদিও তরুণীর মতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি ভুল কিছু করেননি। বরং এভাবে প্রতিবাদেই তিনি বিশ্বাসী।