রাজ্য়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে আরও ১০ জনের শরীরে পাওয়া গেলে করোনা পজিটিভ। জীবনযুদ্ধে হার মানলেন আরও ২ জন। সব মিলিয়ে রাজ্য়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ২৭ থেকে বেড়ে ৩৭, মৃত তিন থেকে ৫।
রেনকোটকাণ্ডে চিকিৎসককে তলব পুলিশের, ফেসবুক থেকে পোস্ট সরানোর নির্দেশ
নাইসেড সূত্রে খবর বেশি রাতে মঙ্গলবার বেশকিছু রিপোর্ট এসে পৌঁছয় স্বাস্থ্য় ভবনে। যা চিন্তা বাড়িয়েছে চিকিৎসকদের। সূত্রের দাবি, হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে এ দিন রাতে মৃত্যু হয়েছে ১ করোনা আক্রান্তের। ওই ব্যক্তির পরিবারের আরও চার জনও এখন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ওই ব্যক্তির কোনও ভিন দেশে বা রাজ্য়ের যোগ ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য় ভবন। ইতিমধ্য়েই শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ।
লকডাউনের বাজারে হু-হু করে বাড়ছে 'বাংলার' দাম, দ্বিগুণ দামে বিকোচ্ছে 'রাম'
কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে এ দিন এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনিও করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তবে সেই রিপোর্ট আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে রিপোর্ট এলে জানা যায়, তাঁর দেহেও করোনা-সংক্রমণ হয়েছিল।
রাজ্য়ে একদিনে দেড় লক্ষ লোককে আলাদা থাকার নির্দেশ স্বাস্থ্য় দফতরের.
সম্প্রতি কমান্ড হাসপাতালের এক চিকিৎসকের করোনা ধরা পড়ে। এবার তাঁর স্ত্রী, ছেলে,মেয়ে-র লালারসের নমুনাতেও করোনা পজিটিভ এসেছে। তাঁরাও ইতিমধ্য়েই ভর্তি হয়েছেন সেনা হাসপাতালে। এখানেই শেষ নয়, নাইসেড সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালের এক ব্যক্তির নমুনাও এ দিন পজিটিভ এসেছে। একই সঙ্গে দমদমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক প্রৌঢ়ার দেহেও কোভিড-১৯-এর উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, সম্প্রতি ইটালি গিয়েছিলেন। তাঁর স্বামীও হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
অপরদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে হাওড়ার গোলাবাড়ি-র এক প্রৌঢ়ার। সোমবার এনআরএস-এ করোনা সন্দেহে যে মহিলার মৃত্যু হয়েছিল, তাঁর রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। যার ফলে রাজ্যে একলাফে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৭! মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিনে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বলা হয়েছিল ২৭। মৃতের সংখ্যা ছিল ৩। তার পর বেশি রাতে এই রিপোর্ট এসেছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে সরকারি ভাবে এই রিপোর্ট এখনও ঘোষণা করেনি তারা।
ক্রমেই কঠিন হচ্ছে পরিস্থিতি। গোটা দেশের মতো এরাজ্যেও ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যাটা বেড়ে যায় একধাক্কায় অনেকটাই। আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতালের যে চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁর পরিবারের তিন সদস্যেরও করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অপরদিকে, দমদম আইএলএসে ভর্তি ১ প্রৌঢ়া। তাঁরও সংক্রমণের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।