'আপনি কি এখনও গভীর নিদ্রায় ঘুমিয়ে', হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ডে যোগীকে প্রশ্ন নুসরতের

  • হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ডে যেতে বাধা তৃণমূল নেতৃত্বদের
  • শুক্রবার নির্যাতিতার বাড়ি যেতে দেওয়া হল না 
  •  পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি কাকলী ঘোষদোস্তিদারের
  • টুইট করে তীব্র প্রতিবাদ অভিনেত্রী সাংসদ নুসরতের 

Asianet News Bangla | Published : Oct 2, 2020 5:13 PM IST / Updated: Oct 02 2020, 10:46 PM IST


হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ডে উত্তর প্রদেশের হাথরসের ২০ বছরের নিহত নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন ডেরেক ও'ব্রায়ন, কাকলী ঘোষ দোস্তিদার -সহ একাধিক সাংসদ আর নেতারা। কিন্তু  তাদের বাধা দেওয়া হয়।  এরপরেই একহাত নিয়ে টুইট করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহান।  

আরও পড়ুন, হাথরাসকাণ্ডের প্রতিবাদে এবার পথে মুখ্যমন্ত্রী, শনিবার প্রতিবাদ মিছিল কলকাতায়


বাধা পাওয়ার পর একদিকে যেমন তিনি টুইটে কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে শক্তি যুগিয়েছেন। তিনি যে সর্বশক্তি নিয়ে লড়াই করছেন, তা জানিয়েছেন। অপরদিকে এবং উত্তরপ্রদেশের পুলিশকে ধীক্কার জানিয়ে বলেছেন, 'এই ঘটনার পর এখনও কী লজ্জা করছে না। এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য়নাথকে প্রশ্ন করেছেন আপনি কি এখনও গভীর নিদ্রায় ঘুমিয়ে।' প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার, দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে হাথরসের ১৯ বছর বয়সী দলিত মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। সোমবারই তাঁকে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল কলেজ থেকে দিল্লির হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। দলিত ওই মেয়েটিকে চরম নির্যাতন করা হয়। অপরাধীরা তাঁর জিভ কেটে নেয়, এমনকি শিড়দাড়া ভেঙে দেয়। এবং তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে মৃত্যুর আগে অভিযোগ করেছিলেন নির্যাতিতা ওই তরুণী।  

 

 

উল্লেখ্য, শুক্রবার হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ডে উত্তর প্রদেশের হাথরসের ২০ বছরের নিহত নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন ডেরেক ও'ব্রায়ন, কাকলী ঘোষ দোস্তিদার -সহ একাধিক সাংসদ আর নেতারা। কিন্তু নির্যাতিতার বাড়ি থেকে দেড় কিমি পথ আগেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। তৃণমূল নেতৃত্ব জোর করে যেতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। আর সেই সময়ই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধ্বস্তাধ্বস্তি। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় কাকলী ঘোষদোস্তিদারের এবং এই ঘটনায় ডেরেক চোট পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে নুসরত জাহানের টুইট রাজনৈতিক মহলে প্রভাব ফেলল।

 

 

Share this article
click me!