মঙ্গলবারও অপরিবর্তিত রয়েছে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কলকাতা সহ দেশের একাধিক শহরে। সরকারি তেল সংস্থার তরফে এদিনও জারি করা জ্বালানি দামে কোনও বদল করা হয়নি।
মঙ্গলবারও অপরিবর্তিত রয়েছে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম (Petrol and Diesel Price)। সরকারি তেল সংস্থার তরফে এদিনও জারি করা জ্বালানি দামে কোনও বদল করা হয়নি। তবে বিজেপি শাসিত রাজ্য ছাড়া বেশিরভাগ রাজ্যে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম আগেই এতটা চড়েছে, যে দাম অপরিবর্তিত হলেও নাভিশ্বাস উঠেছে বাংলা সহ একাধিক রাজ্যে ( Kolkata and various City in India)।
এদিন কলকাতায় পেট্রোলের দাম রয়েছে ১০৪ টাকা ৬৭ পয়সা, ডিজেলের দাম রয়েছে ৮৯ টাকা ৭৯ পয়সা। মঙ্গলবার দিল্লিতে পেট্রোলের দাম রয়েছে ১০৩ টাকা ৯৭ পয়সা, ডিজেলের দাম রয়েছে ৮৬ টাকা ৬৭ পয়সা। মুম্বইতে পেট্রোলের দাম রয়েছে ১০৯ টাকা ৯৮ পয়সা, ডিজেলের দাম রয়েছে ৯৪ টাকা ১৪ পয়সা।চেন্নাইতে পেট্রোলের দাম রয়েছে ১০১ টাকা ৪০ পয়সা, ডিজেলের দাম রয়েছে ৯১ টাকা ৪৩ পয়সা। উল্লেখ্য, মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম লিটার প্রতি যথাক্রমে ১৩ টাকা এবং ১৬ টাকা করে বেড়েছিল। এর প্রভাব পড়ছিল বাজারদরেও। পেট্রোলের দাম কিছু রাজ্যে লিটার প্রতি ১২০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। তার পিছনে পিছনেই ছিল ডিজেলও। পেট্রোল ১০০ পার করতেই সেঞ্চুরি হাঁকিয় ডিজেলেও কলকাতা সহ একাধিক শহরে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার আবগারি শুল্ক কমানোর পর সব রাজ্যের তেলের দামের উপর তার প্রভাব পড়ে। দিওয়ালির আগেই পেট্রোলে প্রতি লিটারে ৫ টাকা এবং ডিজেলের উপর ১০ টাকা করে আবগারি শুল্ক কমানোর ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরেই বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে জ্বালানির দাম কমলেও বিজেপি বিরোধী রাজ্যেগুলিতে পেট্রোল-ডিজেলের দাম না কমার ইস্যু চাপ বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন, Weather Report: মেঘ সরিয়ে নামল পারদ, মঙ্গলে সোনা রোদ মহানগরে
ইতিমধ্যেই ভোটের আগে দাম কমানো নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি। তবে বিজেপি বিরোধীরাও ছেড়ে কথা বলেনি। ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, যেহেতু ভোট রয়েছে বিজেপির চারটে রাজ্য। বিজেপির উপনির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে। তার জন্যই পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমিয়েছে । ভোট হয়ে গেলে আবার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়বে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, পেট্রোল এবং ডিজেলের হার সম্পর্কে একটি টুইটে লিখেছিলেন যে "পকেটমার" ও "কর চাঁদাবাজি" থেকে সাবধান হওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, বিজেপিশাসিত রাজ্যে জ্বালানীর দাম কমার এবং কেন পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে তা সহজ নয় তাও জানিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, ' পেট্রোপণ্য থেকে কেন্দ্রীয় সরকার তো বেশি কর পায়। সেখান থেকে কর কমালে কেন্দ্রের কোষাগারে চাপ পড়ে না। কিন্তু রাজ্য কর কমালে তার চাপ কোষাগারে বাড়বে। তবু রাজ্যে যদি কর কমায়, তার জন্য সময় দিতে হবে। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির কর কমানো নিয়েও তোপ দেগেছেন কুণাল। তিনি বলেছেন, বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির তো কোনও বকেয়া নেই। কেন্দ্র সব পাওয়া মিটিয়ে দেয়। বিজেপি বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে চাপ পড়ে। তাঁধের প্রাপ্য বকেয়া থাকে না। এবার কেন্দ্র হয়তো সেই বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিকে বলে থাকবে, পেট্রোপণ্যের উপর কর কমাও। অন্যখাতে সেই ক্ষতিপূরণ করে দেবে। হতেই পারে রাজনীতির স্বার্থে কেন্দ্রের কোষাগার ব্যবহার করা হবে।'
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে