জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাতের এখনও কোনও সমাধান সূত্র বের হল না। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিন আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে নিতে চায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই বিষয়ে রাজ্যকে চিঠি পাঠালেও এখনও কোনও সদুত্তর দেয়নি নবান্ন। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য-কেন্দ্র সমাধান সূত্র বের হয়নি।
আরও পড়ুন-ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি, আজ জলপাইগুড়ি থেকে কী বার্তা মমতার
ডায়মন্ড হারবারে সভায় যাওয়ার পথে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা হয়। ইট-পাথর-কাচের বোতল ছোঁড়া হয় বিজেপি নেতাদের কনভয় লক্ষ্য করে। নাড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অতর্কিত হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বিজেপি নেতাদের গাড়ি। পাথরের আঘাতে জখম হয়েছিলেন বিজেপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা। ঘটনার দিন জেপি নাড্ডার দায়িত্বে ছিলেন ডিআইজমি দক্ষিণবঙ্গ রাজীব মিশ্র, ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে। এই হামলার জেরে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ওই তিন আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে নিতে নবান্নকে চিঠি পাঠায় কেন্দ্র। কিন্তু সে বিষয়ে ওই তিন অফিসারকে ছাড়পত্র দেয়নি নবান্ন।
ওই তিন আইপিএস অফিসারকে দিল্লি যাওয়ার ছাড়পত্র দিতে নারাজ রাজ্য সরকার। রাজ্যের অনুমতি ছা়ড়া ওই তিন অফিসার কেন্দ্রীয় ক্যাডারে যোগ দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী তা কোনও সম্ভব নয়। সে বিষয়ে নিজেরাও অবগত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তারা। পাশাপাশি, নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে ডেকে পাঠায় কেন্দ্র। সোমবার তাঁদের বৈঠকের কথা থাকলেও, সেই বৈঠক থেকে অব্যাহতি চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লাকে আগেই চিঠি দিয়েছিলেন আলাপন। এদিকে, কেন্দ্রীয় ক্যাডারে যোগদানের প্রশ্নে এখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি ওই তিন আইপিএস অফিসার। স্বাভাবিকভাবেই, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য উভয় শিবিরের অচলাবস্থা অব্যাহত।