সংক্ষিপ্ত
- উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়
- গতকাল দলীয় বৈঠকে গোষ্ঠী কোন্দল থেকে দূরে থাকার বার্তা
- আজ জলপাইগুড়িতে মমতার হাইভোল্টেজ সভা
- সেখান থেকে উত্তরবঙ্গকে কী বার্তা দেবেন তৃণমূল নেত্রী
আগামী বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এই নির্বাচনের আবহে বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানে অশান্তি-হিংসার ঘটনার পর প্রথমবার উত্তরবঙ্গ সফরে তৃণমূল নেত্রী। মেদিনীপুর, রানিগঞ্জ, বনগাঁর পর আজ জলপাইগুড়িতে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। জলপাইগুড়ি এপিসিসি ময়দান থেকে উত্তরবঙ্গকে কী বার্তা দেবেন তৃণমূল নেত্রী?
সোমবার উত্তরবঙ্গে পৌঁছেই দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কোর কমিটির বৈঠকে দলের ভিতর ক্ষোভ-বিক্ষোভ নয়, চলতে হবে সমন্বয় রেখে। দলীয় নেতা কর্মীদের এই বার্তাই দিয়েছিলেন মমতা। ঠিক তার পরের দিন জলপাইগুড়িতে হাইভোল্টেজ সভা করবেন তৃণমূল নেত্রী। জলপাইগুড়ি এপিসিসি ময়দানে ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে কী বার্তা দেবেন মমতা? তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহল। গত লোকসভা ভোটে তুলনামূলকভাবে উত্তরবঙ্গে খারাপ করেছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সেই হারানো জমি ফিরে পেতে এবং দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে মরিয়া তৃণমূল নেত্রী।
আরও পড়ুন-'তৃণমূলের জোকার' কটাক্ষের জবাব দিলেন কল্যাণ, দিলীপকে বললেন 'ক্ষ্যাপা ষাঁড়'
দেশ জুড়ে কৃষি আইনের বিরোধিতার জেরে কার্যত কোণঠাসা গেরুয়া শিবির। বাংলাতেও এই আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে তৃণমূলও। এই কৃষি আইনের বিরোধিতার আঁচ পড়েছে উত্তরবঙ্গের কৃষক সমাজেও। তামাক, পাট, ধান চাষের উত্তরবঙ্গেও ক্ষোভের আঁচ বিভিন্ন জায়গায়। এই অবস্থায় কৃষি বিলের বিরোধিতায় সাধারণ মানুষকে সজাগ করার বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও, গোটা রাজ্যের মতো উত্তরবঙ্গও গত লোকসভা ভোটে নাগরিকত্ব প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বৈতরণী পার করেছিল বিজেপি। সেই ইস্যুতেও এবার সরব হতে পারেন মুথ্যমন্ত্রী। এছাড়াও, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নে সরকারের কী পদক্ষেপ? চা শিল্পের সহযোগিতা কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার? জলপাইগুড়ি এপিসিসি ময়দান থেকে সেই বার্তাই তৃণমূল নেত্রী দিতে পারেন বল মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।