পার্থর আইনজীবীর পক্ষ থেকে এদিন আদালতের কাছে 'যে কোনও মূল্যে' জামিন মঞ্জুর করার দাবি রাখা হল। এমনকী নিজ বাসভবনে নজরবন্দি থাকতেও রাজি তিনি। তবু যে কোনও শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি চান পার্থ। প্রাক্তন মন্ত্রীর তরফে জানানো হয়েছে, পার্থর একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে।
৪২ দিন ধরে জেন হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার ১৪ দিনের জেল হেফাজবত শেষে ফের আদালতে পেশ করা হল প্রাক্তন মন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। নিরাপত্তার খাতিরে এদিন ভার্চুয়ালি ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করা হয় এসএসসি দুর্নীতির মূল অভিযুক্তকে। এদিন ফের জামিনের জন্য মরিয়া আবেদন করলেন পার্থ।
পার্থর আইনজীবীর পক্ষ থেকে এদিন আদালতের কাছে 'যে কোনও মূল্যে' জামিন মঞ্জুর করার দাবি রাখা হল। এমনকী নিজ বাসভবনে নজরবন্দি থাকতেও রাজি তিনি। তবু যে কোনও শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি চান পার্থ। প্রাক্তন মন্ত্রীর তরফে জানানো হয়েছে, পার্থর একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তার জন্য দিনে মোট ১৭টি ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। পার্থর রক্তাল্পতাজনিত সমস্যা আছে, তা ছাড়া হিমোগ্লোবিন কম, ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেশি ইত্যাদি সমস্যার পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট ও শিরদাঁড়াতেও সমস্যা আছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন পার্থর আইনজীবী। তাই তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে জামিনের আর্জি জানানো হয়েছে।
পার্থর তরফ থেকে এও দাবি করা হয়েছে যে তাঁর নামে তো সরাসরি কিছুই পাওয়া যায়নি। যে ফার্ম হাউজের কথা বলা হয়েছে তাও পার্থর নামে নয়। তবে তাঁর জামিনে বাধা কোথায়?
আরও পড়ুন - এসএসসির টাকায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়ের জমি-বাড়ি-ব্যবসা? সিবিআইয়ের জালে প্রসন্ন রায়
এর পরই ইডির তরফে নতুন কিছু তথ্য তুলে ধরা হয় আদালতে। এদিন আদালতকে সিম্বায়োসিস নামে একটি সংস্থার কথা জানায় ইডি। এই সংস্থার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের কালো টাকাকে সাদা করা হয়েছে বলে দাবি ইডির। ২.৭ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে এই সংস্থার শেয়ার। উল্লেখ্য, সিম্বায়োসিসের ডিরেক্টর হিসেবে অর্পিতা এবং কল্যাণ ধরের নাম রয়েছে এবং এই সংস্থার বেশিরভাগ শেয়ারেও অর্পিতার নাম রয়েছে। এছাড়া ইডি আরও জানায় অপা ইউটিলিটি নামের সংস্থাটির জমি কিনতেও ভুয়ো সংস্থার নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
ইডি হেফাজতের মেয়াদের পরও ২৮ দিন জেলে কাটিয়েছেন অর্পিতা। তবে এদিন জামিনের আবেদন করেননি অর্পিতা। শুধু পার্থের মতোই অর্পিতারও আদালতে সশরীরে হাজিরার অনুমতি চাওয়া হয়েছে অর্পিতার তরফে।
এদিন পার্থর জামিনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলা হয় যে এই মুহূর্তে তিনি কোনও মন্ত্রিত্ব পদে নেই। তিনি প্রভাবশালীও নয়। তবে তাঁর জামিন বার বার নামঞ্জুর হচ্ছে কেন? পালটা যুক্তি দিইয়ে ইডি জানিয়েছে ইডির সন্দেহের তালিকায় রয়েছে এখনও একশোটি অ্যাকাউন্ট।
আরও পড়ুন - 'পার্থ-অনুব্রত দলের পচে যাওয়া অংশ', জহর সরকারের মন্তব্যে অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে