পুরভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই সমস্ত দলের মধ্যেই বাড়ছে রাজনৈতিক তরজা। এমনকী ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রার্থী পদ নিয়েও চাপানউতর চলছে শাসক-বিরোধী প্রতিটা রাজনৈতিক দলের মধ্যেই।
আগামী ১৯ ডিসেম্বরই ভোট দিতে চলেছে কলকাতাবাসী। এদিকে পুরভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই সমস্ত দলের মধ্যেই বাড়ছে রাজনৈতিক তরজা। এমনকী ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রার্থী পদ নিয়েও চাপানউতর চলছে শাসক-বিরোধী প্রতিটা রাজনৈতিক দলের মধ্যেই। শনিবারই প্রার্থী তালিকায় একদফা বদল এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে গতকালই তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর পার্থ মিত্র (Partha Mitra)। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বদলে ফেললেন সুর। লকাতার বিদায়ী পুরপ্রধান ফিরহাদ হাকিমকে পাশে নিয়ে পার্থবাবু বলেন,”আমি তৃণমূলেই ছিলাম, তৃণমূলেই আছি।” রাতারাতি তার এই অবস্থা বদল নিয়ে বর্তমানে বাড়ছে রাজনৈতিক তরজা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার তৃণমূল ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় নিজের নাম না দেখে ক্ষুব্ধ হন পার্থ মিত্র। কংগ্রেস তাঁকে প্রার্থী করার প্রতিশ্রুতি দিলে রাতারাতি তৃণমূল থেকে সরে দাঁড়ান। এমনকী তখনই সাফ জানান যে এবার তিনি কংগ্রেসের টিকিটেই লড়তে চলেছেন। সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারেও তাঁকে বলতে শোনা যায়, “১০ বছর তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছি। আমার এলাকায় এসে দেখে যান কোন খুঁত আছে কি না। ইট টু ইট দেখে যান। তৃণমূল কেন টিকিট দিল না আমি জানি। মিডিয়ার সামনে এ নিয়ে আমি কিছু বলব না। এর পর কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। ওরা আমাকে প্রার্থী করেছে।”
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় ছুটছে বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া, গেরুয়া ঝড়ে দিশাহীন বাম-তৃণমূল
এমনকী এরপর শনিবার কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকাও সামনে আসে। তাতেও দেখা যায় পার্থবাবুর নাম। কিন্তু তারপর তাঁর এই রাতারাতি ভোলবদলে অবাক হচ্ছেন অনেকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল এবার প্রার্থী করেছে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার মেয়ে পূজা পাঁজাকে। রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই ধারণা হেভিওয়েট নেত্রীর মেয়েকে প্রার্থী করতেই পার্থ মিত্রের নাম ছেঁটে ফেলা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের দাবি যোগ্য ব্যক্তিকেই প্রার্থী করা হয়েছে। তাই স্বভাবতই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে দলই কী তবে পার্থ বাবুকে যোগ্য বলে মনে করছে না? তবে এই প্রসঙ্গে বিশেষ বিতর্কে জড়াতে চাননি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর। যদিও শনিবার প্রার্থী পদ না পেয়ে বিক্ষুব্ধ পার্থবাবুকে বলতে শোনা যায়, তাঁকে টিকিট না দেওয়ার পিছনে ‘বড় খেলা’ আছে। তবে কী সেই খেলা যা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও বর্তমান।