করোনার বিপদ আরও বাড়বে না তো? যাত্রীদের চাপ সামলাতে ৯৫ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তে কিন্তু খুশি নন যাত্রীরা। একশো শতাংশ অর্থাৎ আগের মতো পুরোদস্তুর ট্রেন চালানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেন চলতেই ঢাকিদের ভিড়ে ঢাকল শিয়ালদহ, খুশিতে ডগমগ পুজো উদ্যোক্তারাও
লকডাউনের কড়াকড়া আর নেই। করোনা আতঙ্কে মাঝেই জনজীবন কার্যত স্বাভাবিকই বলা চলে। কাজের প্রয়োজনে ফের পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। সড়কপথে সচল পরিবহণ, তাহলে লোকাল ট্রেনইবা কেন বন্ধ থাকবে? ক্ষোভ বাড়ছিল নিত্যযাত্রীদের। বস্তুত, রেলকর্মীদের স্পেশাল ট্রেনকে ওঠাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ চলেছে বিভিন্ন স্টেশনে। অবশেষে যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বুধবার থেকে লোকাল ট্রেনে চাকা গড়াচ্ছে এ রাজ্যেও। কিন্তু ঘটনা হল, সীমিত সংখ্যক ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় উপচে পড়ছে। নিরুপায় হয়ে অফিস টাইমে সেই আগের মতো বাদুড়ঝোলা হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে অনেকেই। ফলে শিকেয় উঠেছে সামাজিক দূরত্ব।
আরও পড়ুন: ৪০০০ কোটি টাকারও বেশি অনুমোদন করল কেন্দ্র, নির্বাচনের আগেই বাংলায় আসছে আমফানের সাহায্য
তাহলে উপায়? যাত্রীদের ভিড় সামলাতে হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে একধাক্কায় ৯৫ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। তাতেও কি আদৌও সমস্যা মিটবে? নিত্যযাত্রীরা কিন্তু অন্য় কথা বলছেন। তাঁদের দাবি, কাজের দিনে একশো শতাংশ লোকাল ট্রেনই চালু করা হোক। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূর অস্ত, ভিড়ের চাপে এখন ট্রেনে ওঠাই দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যেই আবার যাত্রীদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বেরনোর রাস্তাটিও আর সরু করে দেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থা নিয়েও আপত্তি তুলেছেন অনেকেই। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার যাত্রীদের কেন মেইন শাখা দিয়ে বাইরে বের করানো হচ্ছে? সে প্রশ্নও উঠেছে।